১৯৯০ সালের ঋণ শোধ করেনি মর্ডান জুট মিলস, ৭ জনের কারাদণ্ড

পূর্বের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল হয়নি ২০ বছর!

জনতা ব্যাংকের ৩৩ বছরের পুরোনো দুই কোটি টাকা খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করায় মডার্ন জুট মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) একেএম নাজমুল হোসেনসহ ৭ জনকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত। এর আগেত ২০০৩ সালে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও তা তামিল হয়নি বলে জানা গেছে।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারী) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দিয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ১৯৯০ সালে জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করেনি মর্ডান জুট মিলস। ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মডার্ন জুট মিলসের মাহমুদুর রহমান, একেএম নাজমুল হোসেন, রোকেয়া হোসেন, এমএ সানা, মনোয়ার হোসেন এবং রাকা হোসেনকে ৫ মাসের আটকাদেশ দিয়েছেন। দেওয়ানি আটকাদেশ কার্যকর করার জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, খেলাপি ঋণ আদায়ের দাবিতে জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রামের লালদিঘি করপোরেট শাখা ১৯৯০ সালে অর্থঋণ মামলা করেন। ১৯৯০ সালের ১২ ডিসেম্বর দায়িকগণের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৫ লাখ ৩৯ হাজার ১৮২ টাকার ডিক্রি হয়। উল্লিখিত টাকা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধের জন্য দায়িকগণকে নির্দেশ দেওয়া হলেও তা পরিশোধ না করে ১৯৯২ সালে মানি জারি মামলা করেন। বন্ধকীকৃত এবং ক্রোককৃত স্থাবর সম্পত্তি থেকে ডিক্রিকৃত টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ডিক্রিদার দায়িকগণের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালত আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করলে ২০০৩ সালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। কিন্তু গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল হয়নি।

২০২২ সালের জনতা ব্যাংক লিমিটেড পরিচালনা পরিষদে দায়িকগণ আবেদন করলে ব্যাংক সুদ মওকুফ করে ১২টি কিস্তিতে ১ কোটি ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৭৯২ টাকা পরিশোধযোগ্য দায় নির্ধারণ করে। দায়িকগণ এরপর একটি কিস্তিও পরিশোধ করেননি।

১২ কিস্তি নির্ধারণের ক্ষেত্রে মামলার আরোপিত, অনারোপিত ও দণ্ড সুদের মোট ২১২ কোটি ৭৫ লাখ ৪৫ হাজার ৭৯৫ টাকা সুদ মওকুফের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলারসহ এবং প্রচলিত ব্যাংকিং নীতিমালার আওতায় স্বচ্ছতার সাথে নেওয়া হয়েছে কি না তা তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।