৩ দিনেও সন্ধান মেলেনি রেমিট্যান্স যোদ্ধা আবুল কাশেমের স্বজনদের

আবুল কাশেম নামের চট্টগ্রামের এক বয়োবৃদ্ধ রেমিট্যান্স যোদ্ধা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে সৌদি আরব থেকে খালি হাতে দেশে ফিরেছেন তিন দিন আগে। উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশান ওয়েলফেয়ার সেন্টারে থাকা আবুল কাশেমের স্বজনদের সন্ধান মেলেনি তিন দিনেও। তৃতীয় দিনে তিনি কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াহাট এলাকার নাম বলতে পেরেছেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তিনি বাড়ির সঠিক ঠিকানা বলতে না পারলেও প্রথম দিকে রাউজান এবং মিরসরাইয়ের দুটো ঠিকানা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু দুটো ঠিকানার জনপ্রতিনিধি, পুলিশ প্রশাসন, গণমাধ্যম কর্মীরা অনেক চেষ্টা করেও আবুল কাশেমের স্বজনদের শনাক্ত করতে পারেননি।

ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচির প্রধান শরীফুল হাসান চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, বয়োবৃদ্ধ আবুশ কাশেম ১৪ জানুয়ারি সৌদিআরব থেকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছেন। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ উক্ত কর্মীর পরিবারের সন্ধান ও তাকে নিরাপদে হস্তান্তর করার জন্য ব্র্যাক মাইগ্রেশান ওয়েলফেয়ার সেন্টারে হস্তান্তর করেছেন। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তিনি সঠিক ঠিকানা বলতে পারছেন না।

তিনি আরও বলেন, আমরা চট্টগ্রামের দুটি ঠিকানায় খবর নিয়ে কোনো স্বজনের খোঁজ পাইনি। তবে তৃতীয় দিন তিনি টেকনাফের নয়াবাজারে তার ছেলে নূর হাসান তরকারি বিক্রি করে বলে জানিয়েছেন। ছোট ছেলে এনামুল হাসান দুবাই থাকেন। মান্নান সৌদি থাকেন বলে দাবি তাঁর। ৮ থেকে ১০ জন নাতি নাতনি আছে। কিন্তু যেহেতু দীর্ঘ ২৫ বছর দেশে নেই সঠিকভাবে সব বলতে পারেন না।

বৃদ্ধ আবুল কাশেম ১৫ জানুয়ারি জানিয়েছিলেন রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের গরিশংকরহাট এবং মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাটের কথা। মান্নান, নূর হাসান ও এনামুল হাসান নামে তাঁর তিন ছেলে এবং ছয় মেয়ের কথাও তিনি বলেছেন।

রাঙ্গুনিয়া সার্কেল এসপি আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, আমরা গৌরিশঙ্করহাট এলাকার খবর নিয়ে এমন কারো বিষয়ে কোনো তথ্য পাইনি। বৃদ্ধ আবুল কাশেমকে কেউ চিনতে পারেননি।

রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন বলেন, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ এবং ব্র্যাক থেকে যোগাযোগ করার পর আমি খবর নিয়েছি। কিন্তু গৌরিশংকর এলাকার এ নামে কেউ সৌদিতে থাকেন না।

মিরসরাই প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শারফুদ্দীন কাশ্মীর বলেন, মিরসরাইয়ে কোথাও গৌরিশঙ্কর নামের হাট নেই। মিরসরাইয়ের বিষয়ে তথ্যটি সঠিক নয়।

বৃদ্ধ আবুল কাশেমকে চিনলে বা তার সম্পর্কে কোনো তথ্য জানলে ব্র্যাক মাইগ্রেশান ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল-আমিন নয়নের (01712197854) সাথে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচির প্রধান শরীফুল হাসান।

অথবা চট্টগ্রাম খবর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে চট্টগ্রাম খবরের পক্ষ থেকে বৃদ্ধ আবুল কাশেমকে স্বজনের কাছে ফিরতে সহযোগিতা করা হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।