৪০ বছরে বুস্টার ডোজ, ১২ বছরেই করোনা টিকা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনা প্রতিরোধে বুস্টার ডোজের বয়সসীমা কমিয়ে ৪০ বছর করেছে সরকার। এছাড়াও ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যারা আছে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিসিয়ান অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) ভবনে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং করোনা পরিস্থিতি বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার বুস্টার ডোজের জন্য আগে বয়সসীমা ছিল ৫০ বছর। আজ থেকে তা কমিয়ে ৪০ বছর করা হলো। ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী শিশুদেরও টিকা দেওয়া হবে। যারা স্কুলে যায় না, তারা জন্মসনদ নিয়ে এলে টিকা পাবে, না নিয়ে এলেও পাবে।

তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসে দেশে তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা প্রয়োগ হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কোটি ৭০ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে টিকার প্রথম ডোজ ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। দ্বিতীয় ডোজও আশানুরূপভাবে বাড়বে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা টিকা কর্মসূচি ওয়ার্ড পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। তবে এখন টিকা দেওয়ার জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণে যারা বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন (যেমন- বাস মালিক সমিতি, ব্যবসায়ী সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি) তাদের লোকজনকে যেন টিকা নিতে বাধ্য করে, সেজন্য আমরা চিঠি দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা ও আহমেদুল কবির প্রমূখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।