৪ দিনেও ভাঙা হয়নি চট্টগ্রামে হেলে পড়া সেই ভবনটি

চট্টগ্রামে হেলে পড়া সেই চার তলা ভবন ভাঙা হয়নি চারদিনেও। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা। পরিত্যক্ত ঘোষণা করা সে ভবনটি দ্রুত ভেঙে ফেলার ব্যাপারে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিলেও, তা কার্যকরে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

জানা গেছে, বুধবার (১৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনের প্রবেশ পথের দিকে কাত হয়ে পড়ে একটি চারতলা ভবন। হেলে পড়ার পর ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্টেশনের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয় ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু বিকল্প পথ না থাকায় প্রবেশ পথটির একাংশ দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারও শিক্ষার্থী এবং এলাকার মানুষ।

এদিকে হেলে পড়া ভবনটি দ্রুত ভেঙে ফেলতে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কখন-কিভাবে ভেঙে ফেলা হবে, তা জানানো হয়নি ভবন মালিকে।

স্থানীয়রা জানায়, ভবনটি হেলে পড়ার সময়, ফাটল দেখা দেয় আশেপাশের আরও অন্তত ৮ থেকে ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বেশকিছু দোকানপাট। ভবনটি দ্রুত ভেঙে ফেলার দাবি জানিয়েছেন তারা।

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় চশমা খাল খনন কাজের কারণে ভবনটি হেলে পড়েছে বলে ভবন মালিক দাবি করলেও, প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা ভবনের নির্মাণ ত্রুটিকে দায়ী করেছেন।

ভবন মালিক খোরশেদ আলম বলেন, শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে ছিল। তারা সিডিএকে দিয়েছে। সিডিএ আবার দিয়েছে সিটি করপোরেশনকে। বর্তমানে তাদের এখতিয়ারেই আছে। তারা কখন ভাঙবে তা আমাদের জানায়নি। তিনি আরও বলেন, এটি এখন আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। সবচেয়ে বড় কথা এপাশ দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেশন এলাকা এবং বস্তি এলাকার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।