৭ দিনেও পৌঁছেনি চিঠি, পরীক্ষা দিচ্ছেন বহিষ্কৃত অনিক

বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার দায়ে গত ৯ জানুয়ারি ১৭ জন ছাত্রলীগ কর্মীসহ মোট ১৮ জনকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি। কিন্তু বহিষ্কারের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও বিভাগগুলোতে বহিষ্কারের চিঠি পৌছেনি।

যার কারণে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সংস্কৃত বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ৪০৩ নাম্বার কোর্সের পরীক্ষায় অংশ নিতে দেখা গেছে অনিক দাসকে। কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ২২৫ নাম্বার কক্ষে তাকে পরীক্ষা দিতে দেখা যায়। অনিক শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী।

এ বিষয়ে বিভাগটির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রাজপতি দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে তার বহিস্কারের ব্যাপারে আমরা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটিকোনো চিঠি বা নোটিশ পাই নি। তাই আমরা তাকে পরীক্ষা দিতে দিয়েছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য সচিব রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, অনেকজন একসাথে বহিষ্কার হওয়াতে চিঠিগুলো পাঠাতে একটু সময় লাগতেছে। তবে বিষয়টি প্রক্রীয়াধীন রয়েছে। দু একদিনের মধ্যে চিঠিগুলো পাঠিয়ে দেব।

প্রসঙ্গত, এর আগেও গত বুধবার (১১ জানুয়ারি) পরীক্ষা দিয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইনের কর্মী মাহমুদুল হাসান ইলিয়াস ও একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী নাহিদুল ইসলাম।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।