অনুকূল আবহাওয়ায় পাহাড়ে বোরোর অধিক ফলন

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে পার্বত্যাঞ্চলে বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। কোন কোন এলাকায় শুরু হয়েছে সংগ্রহও। তবে কৃষকরা বলছেন, ফলন ভালো হলেও ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কায় আগাম ধান কাটতে হচ্ছে।

এছাড়া অনেক জায়গায় ধানের ভালো দাম পাওয়া গেলেও কিছু কিছু জায়গায় তা মিলছে না। অতিরিক্ত গরমে ধান কাটাও যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

বোরো ধান হয় শুষ্ক মৌসুমে। হেমন্তকালের শুরু থেকে গ্রীষ্মকালের মাঝামাঝি পর্যন্ত এর সময়কাল ধরা হয়। তীব্র লবণাক্ত জমিতেও বোরোর ভালো উৎপাদন হতে দেখা যায়।

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদুতে পাহাড়ের পাদদেশে বিস্তীর্ণ আবাদি জমিতে এরইমধ্যে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে।

এ অঞ্চলের কৃষকরা বলছেন, এবার বোরো ধানের অধিক ফলন হয়েছে। তবে, দামের ব্যাপারে শঙ্কাও জানিয়েছেন তারা। কৃষকরা বলছেন, প্রায় প্রতিবছরই ফসল ঘরে তোলার পর ধানের দাম কমে যায়। এবারও তেমন হলে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা।

এদিকে উপজেলায় তীব্র গরমে ধান কাটতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন কৃষকরা।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে লংগদু উপজেলায় বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১হাজার ৪৫০ হেক্টর। তবে চাষ হয়েছে এরচেয়েও ৩শ হেক্টর বেশি অর্থাৎ প্রায় ১হাজার ৮শত হেক্টর জমিতে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, সরকারিভাবে প্রণোদনাসহ সময়মতো সার ও বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। সামনে সরকারিভাবে ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হলে দামও কিছুটা বাড়বে বলে দাবি তাদের।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বোরো উৎপাদনের তথ্যে দেখা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বোরো মৌসুমে দুই কোটি সাত লাখ টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। যা ছিলো আগের অর্থবছরের তুলনায় তিন শতাংশ বেশি।

কৃষিবিদরা বলেছেন, জেনেটিক গেইন বৃদ্ধি, অনাবাদি জমি চাষ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করে প্রধান এই খাদ্য দ্রব্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।