অন্যকে অনুকরণ নয়, নিজের মস্তিষ্কে যা আসবে তাই করবে—ড. আজাদ চৌধুরী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, অন্যকে অনুকরণ করে তোমার জীবনের স্বল্প সময় নষ্ট করো না। তোমার মস্তিষ্কে যা আসে তা করবে। যেটাই ভালো লাগে সেটাই করবে। নিজেকে উদ্যেক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করো যা তোমার সমাজ ও দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির ২য় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তার বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, সবাই মনে করে আমি মেধাবী না। যেটা আমাদের কারও ভাবা উচিত নয়। সবার উচিত যার যার কাজটা করা। তোমরা যে কাজটা করবে তার সাথে লেগে থাকবে। সেটা তোমাকে শ্রেষ্ঠত্ব দিবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে অন্যের সাথে মিলিয়ে হতাশ হয়ে যায়। যা একেবারেই কাম্য নয়। নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করবে না। যখন তুলনা করবে তখন মনে হবে তুমি অদক্ষ। বয়সটা এখন এগিয়ে যাওয়ার। যেমন যৌবনে ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন আহমমদ এই গ্রামীণ জনপদে একটি মানুষ গড়ার কারখানা গড়ে তুলেছিলেন।

ইউজিসির সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, আফছার উদ্দিন আহমমদ চাইলেই বড় কোন কারখানা দিতে পারতেন। কোন শিল্প কারখানার মালিক হতে পারতেন৷ কিন্তু তিনি একটি উদ্যেগ নিয়েছেন। যার ফসল আজকে তোমরা যারা এখানে বসে আছো। এই গ্রামীণ জনপদের মানুষদের শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দীন আহমদের উদ্যেগ দারুণ ভূমিকা রেখেছে।

সাবেক ঢাবি উপাচার্য বলেন, স্টিভ জবস, বিল গেইটসদের কথা আমরা সবাই জানি। তারা কেউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী সস্পন্ন করতে পারেননি। কিন্তু তারা যা করতে চেয়েছেন তাকে বাস্তবে রূপায়িত করেছেন। যা সকল স্নাতকের জন্য একটা বড় দৃষ্টান্ত।

এ সময় তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও যাদের হাত ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে তাদের স্মরণ করে বলেন, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি মাথা উঁচু করে বাঁচতে। কাউকে ভয় পেতে এদেশ স্বাধীন হয়নি। আমাদের সকলকে এক হয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে রাষ্টপতির পক্ষে কনভোকেশন চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এবং বিজিসি ট্রাস্ট এর প্রতিষ্ঠাতা ও বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, প্রাক্তন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন আহমেদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএফএম আওরঙ্গজেব।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।