অন্যের গুঁড়া দুধ নিজের মোড়কে বাজারে ছাড়ে এনজিএস, ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে জেল-জরিমানা

গোঁজামিলের দায়ে চার মাসের মাথায় চট্টগ্রামের গুঁড়া দুধ বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান এনজিএস আবারও জেল-জরিমানার শিকার হলো। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এনজিএস ফুড প্রোডক্টকে নগদ দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা সাগর দে নামের এক কর্মকর্তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন। নিউজিল্যান্ড থেকে গুঁড়া দুধ আমদানি করে বাজারজাত করার কথা থাকলেও খোলাবাজার থেকে মেয়াদ ও মানহীন ভেজাল গুঁড়া দুধ কিনে নিজের মোড়কে ছাড়ার অভিযোগ এনজিএস’র বিরুদ্ধে বহু পুরোনো।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধি এবং আকবরশাহ থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, এনজিএস ফুড প্রোডাক্টস নামক কারখানায় অবৈধ উপায়ে দুধ মোড়কজাত করছে এবং খোলা গুঁড়া দুধ এনে ডানো গুঁড়া দুধ ও স্যামা মিল্ক নামক গুঁড়া দুধ এনে নিজের নামে মোড়কজাত করছিল বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। আমরা সরেজমিনে অভিযান পরিচালনা করে এর সত্যতা পাই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক দেখাশোনা করতেন সাগর দে নামের এক কর্মকর্তা। আমরা তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছি। অনিয়মের দায়ে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করেছি।

প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে নগরীর উত্তর কাট্টলিতে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা অধিকার চার লাখ টাকা জরিমানা করেছিল। নিউজিল্যান্ড থেকে গুঁড়া দুধ আমদানি করে বাজারজাত করার কথা থাকলেও খোলাবাজার থেকে মেয়াদ-মানহীন ভেজাল গুঁড়া দুধ কিনে নিজের মোড়কে ছাড়ার অভিযোগ এনজিএস’র বিরুদ্ধে বহু পুরাতন। চার মাসের মাথা একই অপরাধে তারা আবারও জেলা জরিমানা গুনতে হলো।

কারখানা থেকে দুগ্ধজাতীয় বিভিন্ন উপাদান জব্দ করে বিএসটিআইকে পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।