অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করে সিজল—মধুবন, ‍গুনলো জরিমানা

চট্টগ্রামের স্থানীয় মিষ্টি ব্র্যান্ড সিজল ও মধুবনের কারখানায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে সিজলকে দেড় লাখ এবং মধুবনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, বেকারি আইটেম ও মিস্টির জন্য চট্টগ্রামের বিখ্যাত ব্রান্ড সিজলের ফ্যাক্টরিতে ঢুকে চমকে ওঠি আমরা। বায়েজিদের এ ফ্যাক্টরিতে তৈরি সকল খাবারের প্যাকেটে লেখা আছে আগ্রাবাদের ঠিকানা। এ ফ্যাক্টরিতে মিস্টি বা অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য তৈরির জন্য কোন প্রকার লাইসেন্স তাদের নেই।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া সন্দেশ ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মিস্টিগুলো ছিল প্লাস্টিকের তেলের ড্রামে। সয়াবিন তেলের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছিল পামওয়েল ও ডালডা। ফ্রিজ থেকে দই এবং রসমালাই বের করে দেখা গেল বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়েই লোগো লাগানো হয়েছে প্যাকেটের গায়ে। এসকল অভিযোগ আমলে নিয়ে বিএসটিআই আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ১ লাখ এবং ময়লা পরিবেশে খাবার তৈরির দায়ে ৫০ হাজার মোট দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় সিজলের ফ্যাক্টরির ম্যানেজার মো: মিজানুর রহমানকে।

এরপর পাশেই অবস্থিত মধুবনের ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের একই দল। সেখানে ফ্যক্টরির কাগজপত্র সব ঠিকঠাক পাওয়া যায়। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরির দায়ে তাদেরকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।