অ্যাডভোকেট বাপ্পী হত্যা—‘স্ত্রী রাশেদা’ ও হুমায়ুনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বাপ্পী হত্যা মামলার প্রধান আসামি তার কথিত স্ত্রী রাশেদা বেগম ও হুমায়ুনের ফাঁসি রায় হয়েছে।
একই আদেশে অভিযুক্ত পারভেজ আলী, আকবর হোসেন ও আল আমিনের যাবজ্জীবন এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
এই মামলা থেকে জাকির হোসেন প্রকাশ মোল্লা জাকিরকে খালাস দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুলাই) চট্টগ্রাম ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ জসিম উদ্দীনের আদালত এই রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী পিপি অ্যাডভোকেট দুলাল চন্দ্র দেবনাথ।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, রায়ের সময় আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হুমায়ুন রশিদ ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো.পারভেজ আলী এবং খালাস পাওয়া জাকির মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদা বেগম, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আল আমিন ও আকবর হোসেন পলাতক রয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদা বেগম (২৮) কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার উত্তর লক্ষ্যারচর এলাকার মন্ডল পাড়ার জাকির হোসেনের মেয়ে এবং হুমায়ুন রশিদ (২৮) পটিয়া থানার শোভনদন্ডী এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো.পারভেজ আলী খাগড়াছড়ি জেলার সদর থানার শালবন এলাকার ফিরোজ সরকার বাড়ির হাফিজুল ইসলামের ছেলে (২৪), আল আমিন বরগুনা জেলার তালতলী থানার সোনাকাটা ইউনিয়নের লাউপাড়া আকন্দ বাড়ির মনসুর আলীর ছেলে এবং আকবর হোসেন রুবেল প্রকাশ সাদ্দাম নোয়াখালী জেলার সাধুরাম থানার ব্রহ্মপুর এলাকার আন্দার বাড়ির মৃত হাবিবুল্লাহর ছেলে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর নগরীর চকবাজার থানার কে বি আমান আলী রোডের একটি তিন তলা ভবন থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আইনজীবী ওমর ফারুক বাপ্পির মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় নিহত আইনজীবীর বাবা আলী আহমদ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর তৎকালীন পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন আদালত। বাপ্পি হত্যা মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষী ছিলেন। আদালত ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।