বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া পরলোকগমন করেছেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল টিমের সাবেক অধিনায়ক ও ক্রীড়া সাংবাদিক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবুর পিতা। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে, দুই মেয়ে, পুত্রবধূ, জামাতা, নাতি-নাতনী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটে তিনি চট্টগ্রামের নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিকেলে নগরীর কাতালগঞ্জ নবপণ্ডিত বিহারে প্রথম শোকসভা অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাউজানের আবুরখীল গ্রামে প্রয়াতের শেষকৃত্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম। বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া ১৯৩৪ সালের ২৩ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার আবুরখীল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলা সাহিত্য এবং পালিতে এমএ ডিগ্রি অর্জনের পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবনে এই তিনি প্রায় তিন যুগ শিক্ষার আলো বিলিয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগে খণ্ডকালীন অধ্যাপক ড. প্রণব কানুনগোপাড়া কলেজ, রাঙ্গুনিয়া কলেজ, অগ্রসার বালিকা মহাবিদ্যালয় এবং কুণ্ডেশ্বরী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০১৯ সালে একুশে পদক প্রদান করে।
শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া বেশকিছু প্রবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে গেছেন অমূল্য কিছু গ্রন্থ। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি বৌদ্ধদের অবদান, বাংলাদেশের বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতি, বৌদ্ধ আচরণবিধি, মহাথেরোকে যেভাবে দেখেছি, পৃথিবীর পথে পথে, শতবর্ষের বৌদ্ধ সাহিত্যিকদের অবদান ও সমাজজীবন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।