আত্মগোপনের ‘চিল্লা’ শেষে প্রকাশ্যে ডা. শাহাদাত, এখনও অন্তরালে শামীম-আকবর

২৮ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশে গণ্ডগোলের পর প্রায় ৪০ দিন আত্মগোপনে থাকা নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রকাশ্যে এসে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছেন। তবে এখনো পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও উত্তর জেলা আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানকে বিএনপির চলমান হরতাল-অবরোধের সমর্থনে মিছিল পিকেটিং করলেও সদস্য সচিব মোসতাক পলাতক আছেন। পুরো দেড় মাসে নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করকে একদিন সুফিয়ানের পিকেটিংয়ে দেখা গেলেও পুলিশ তার বাসায় গিয়ে তল্লাশী চালিয়েছে জানিয়ে তিনিও আত্মগোপনে!

রোববার (১০ ডিসেম্বর) সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সিএমইউজে সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি. জানে আলম সেলিম।

নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা ছিল মানবাধিকার দিবসের কর্মসূচিতে চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতারা অংশ নিবেন। কিন্তু তাদের দেখা না পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখছেন—ডা. শাহাদাত আত্মগোপনের চিল্লা পূরণ করেছেন। অন্যদের চিল্লা ৪০ দিনেও শেষ হয়নি।

বরাবরের মতো গোলাম আকবর খন্দকার এবং মাহবুবের রহমান শামীমের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গোলাম আকবর খন্দকারের পরিবারিক সূত্র জানায়—তিনি চট্টগ্রামেই আসেননি।
তবে গোলাম আকবর খন্দকার এবং তার অনুসারীরা মাঠে না থাকলেও আন্দোলন সংগ্রামে যে নেতারা মাঠে ছিলেন তারা আজকের মানববন্ধনেও ছিলেন।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলার যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, কাজী সালাউদ্দিন, মহানগর আহবায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, দক্ষিণ জেলার সদস্য অ্যাডভোকেট ফোরকান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট ফৌজুল আমিন, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কেন্দ্রীয় মহিলাদলের যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, মহানগর ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দীন, জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলম প্রমূখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।