ঈদে ফাঁকা চট্টগ্রাম নগরী—ঢাকা থাকবে নিরাপত্তা চাদরে

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে শনিবার (২৩ এপ্রিল) অথবা পরদিন রোববার সারা দেশে পালিত হবে মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ উৎসব ঈদুল ফিতর। স্বজনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগা-ভাগি করতে ইতোমধ্যেই নগরীর বাসিন্দারা ছুঁটছেন গ্রামে। আবার চট্টগ্রামের স্থানীয়রা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছেন চট্টগ্রাম।
আর বন্দর নগরী চট্টগ্রামের নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশ—সিএমপি নিয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। থানা পুলিশের পাশাপাশি টহলে থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ। বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াতের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ আগের ন্যায় প্রস্তুত থাকবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায়।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, নগরবাসীর জান-মালের নিরাপত্তায় সিএমপি বদ্ধপরিকর। ঈদে অনেকেই গ্রামে যান। এতে শহর ফাঁকা হয়ে যায়। ফাঁকা শহরে অপরাধমূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণের আমরা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমাদের থানা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে টহলে থাকবে বিশেষ টিম। এছাড়াও বিশেষায়িত টিমগুলোও রয়েছে।

নগরবাসীকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ঈদের সাধারণত গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা বেশী ঘটে। তাই বাড়িওয়ালাদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে বাড়ি খালি রেখে কোথাও যাওয়া যাবে না। নিজেদের বাড়ির দারোয়ান যাতে সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকে সেই ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সিসি ক্যামরাগুলো যেন সক্রিয় রাখেন। যে কোনো অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে দ্রুত লোকাল থানায় যোগাযোগ করারও পরামর্শ দেন নগর পুলিশের অভিভাবক কৃষ্ণ পদ রায়।

এদিকে সিএমপির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঈদ জামায়াতে সিএমপির চার স্তরের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে ঈদ জামাতে জায়নামাজ ও ছাতা ব্যতীত অন্য কিছু বহন না করতে মুসল্লীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ এবং ঈদগাহসমূহে আর্চওয়ে গেইট এবং হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে তল্লাশির মাধ্যমে মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়।
ঈদ জামায়াতে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি ডিবি টিম, সাদা পোশাকে পুলিশ সহ সোয়াট টিম মোতায়েন থাকবে এবং গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ এবং ঈদগাহসমূহ সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষনিক এবং নিবিড় মনিটরিংয়ে রাখবে সিএমপি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।