ঈদ মৌসুমে স্যানমার ওশান সিটিতে বিনিয়োগ ১৫০ কোটি টাকা

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অন্যতম অভিজাত ও আধুনিক শপিংমল সানমার ওশান সিটি। ঈদকে সামনে রেখে চলছে বেচা-কেনার ধুম। দেশ বিদেশের নামি দামি ব্রান্ডের রকমারী পণ্য সামগ্রীর সরবরাহ বাড়াতে এ মৌসুমে মার্কেটটিতে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করেছেন প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। সুপরিচিত দেশি ও বিদেশি ব্রান্ডের পণ্যের বাজার হিসেবে পরিচিত মার্কেটটিতে রয়েছে প্রায় ৩০০টি দোকান।

স্যানমার ওশান সিটির আইরো শো রুমের এরিয়া ম্যানেজার রবিউল করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, আমাদের এ শো রুমে এবার ঈদ পণ্য চলে এসেছে। আমার এখানে পাঞ্জাবি, কোটি, শেরওয়ানী ও বাচ্চাদের পাঞ্জাবি পাওয়া যায়। এবার দোকানে ৭০ লাখ টাকার পণ্য তুলেছেন বলে জানান তিনি।

অভিজাত এই শপিংমলের বৈশাখী শো রুমের পরিচালক মো. হাবিবুল ইসলাম চৌধুরীর দোকানে তোলা হয়েছে পাকিস্তানি ও ভারতীয় পণ্য। দোকানটিতে এ বছরের আকর্ষণ সুতির শাড়ি। এবার ঈদকে সামনে রেখে অর্ধ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

মার্কেটটির সারতাজ শো রুমের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আমাদের এখানে ভারত হতে পাঞ্জাবি আনা হয়েছে। আমি এবার ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। আমার এখানে পাঞ্জাবির দাম সর্বনিম্ন ১৮০০ টাকায় সর্বোচ্চ ৫৯৯০ টাকার পাঞ্জাবি রয়েছে আমার শো রুমে। এবার ব্যবসা ভালো হবে এ প্রত্যাশায় আছি।

স্যানমার ওশান সিটির আর এ বুটিকসের পরিচালক মো. আতিক বলেন, গত দু’বছর ব্যবসা হয়নি। এ বছর মসলিন শাড়ি, থ্রি পিস ও ঢাকাইয়া জামদানি এনেছি। ঈদ উপলক্ষে এবার ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি।

স্যানমার ওশান সিটির স্মাইলি শোরুমের পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদ প্রস্তুতি ভালো। আমার দোকানে মেয়েদের এবং শিশুদের পোশাক পাওয়া যাবে। আমি লোন ও ধার-দেনা করে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। এবার ব্যবসা ভালো হবে এ প্রত্যাশায় আছি।

স্যানমার ওশান সিটি ওনারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদ ইফতেখার বলেন, এবারের ঈদ প্রস্ততি ভালো, বাজার জমবে বলে আশা করছি। ২৭ মার্চ থেকে চাঁদ রাত পর্যন্ত মার্কেট প্রতিদিন খোলা থাকবে। প্রথম রমজান থেকে মার্কেটের সাজ-সজ্জা দেখ যাবে বলে জানান তিনি।

স্যানমার ওশান সিটি ওনারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাক বলেন, করোনা না থাকায় আশা করছি এবার রমজান ঈদে ব্যবসা ভলো হবে। আমাদের এখানে দেশীসহ ভারতীয়, পাকিস্তানি ও থাইল্যান্ডের পণ্য পাওয়া যাবে। ক্রেতারা নির্বিঘ্নে আমাদের মার্কেটে কেনাকাটা করতে পারবেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।