উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে চবি শিক্ষক সমিতির অনশন

উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন চবি শিক্ষকদের এ সংগঠন।

৩ ঘন্টা ঘন্টাব্যাপী এ প্রতিকী অনশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ লঙ্ঘন করে এবং প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বাংলা ও আইন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাব জানান উপস্থিত শিক্ষকরা।

এসময় চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চৌদ্দ সদস্যের একটা সিন্ডিকেট, সেখানে একজনও শিক্ষক প্রতিনিধি ছিল না। আপনাকে বহুবার বলে, মানববন্ধন করে আপনি নির্বাচন দিয়ে চারজনকে পূর্ণ করেছেন, আরও চারটা পদ খালি থেকে গেল। তার মানে হলো আপনার সিন্ডিকেট গ্রহণযোগ্য নয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে যতক্ষণ পর্যন্ত সিন্ডিকেটে আপনার একাডেমিক কাউন্সিল প্রতিনিধি অবশিষ্ট আছে সে নির্বাচন হতে হবে’। অতএব আপনাকে সহ্য করার ক্ষমতা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তাই আমরা আপনার অবিলম্বে পদত্যাগ চাই।

অনশনে উপস্থিত লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, ‘এখানে প্রফেসর সেকেন্দর চৌধুরী আছেন, প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী আছেন গত ৪০-৬০ বছরের ইতিহাসে শিক্ষক সমিতিকে কোনো রেজিস্ট্রার এভাবে অ্যাড্রেস করেছে কি-না আমি আপনারা অনুসন্ধান করুন। যেটা গিলতে পারবেন না, হজম করতে পারবেন না এ ধরনের কাজ আপনারা কেন করেন?’।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মু.গোলাম কবীর আইন বিভাগের নির্বাচনী বোর্ড নিয়ে বলেন,’ প্রফেসর আব্দুল্লাহ ফারুক, উনি আইনের কথা কলে নীতির কথা বলে কিভাবে সাইন করলেন। আপনি কত অনিয়ম, কত দুর্নীতি করেছেন। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে ধারণ করি, এখানে কোনো অনিয়ম, কোনো দুর্নীতি হলে আমার লজ্জা লাগে।’

অনশন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৫০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।