ঋণ খেলাপি ইমাম গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ আলীর কারদণ্ড

ইমাম বাটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রুপ ইমাম গ্রুপের মালিক ঋণ খেলাপি মোহাম্মদ আলীকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ৯ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যমুনা ব্যাংক কদমতলী শাখার দায়েরকৃত ৯ কোটি টাকা চেক প্রতারণার মামলায় মোহাম্মদ আলীকে এই দণ্ডাদেশ দেন চট্টগ্রাম ২য় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ হাসানের আদালত।

রোববার (৫ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে যমুনা ব্যাংকের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, আসামী মো. আলী যমুনা ব্যাংক কদমতলী শাখা থেকে ১৯ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন এবং ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের জন্য ২ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে ৪ কোটি টাকা এবং ৫ কোটি টাকা সহ মোট ৯ কোটি টাকার দুইটি চেক প্রদান করেন। উক্ত চেক ২টি নগদায়নের জন্য উপস্থাপন করা হলে আসামীর একাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ জমা না করায় তা ডিজঅনার হয়। পরবর্তীতে এন,আই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারার বাদী যমুনা ব্যাংক আইনী কার্যক্রম গ্রহণ করলে মামলাটি বিজ্ঞ ২য় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে এস,টি মামলা নং ২০৪৯/২০১৩ হিসাবে বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়। তবে আসামী মহামান্য উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন দায়ের করলে দীর্ঘদিন মামলাটির শুনানী স্থগিত ছিল।
পরবর্তীতে স্থগিতাদেশ বাতিল হলে আদালতে সাক্ষ্য সাবুদ গ্রহণ, দলিলপত্র যাচাই ও যুক্তিতর্ক শেষে আসামীর বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় উক্ত আসামীকে ১ বছরের জেল ও চেকের সমপরিমাণ ৯ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন।

বাদী ব্যাংকের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, অ্যাভোকেট এ.এইচ.এম জসিম উদ্দিন, অ্যাভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ, অ্যাভোকেট মোঃ হাসান আলী, অ্যাভোকেট মো: বদরুল হাসান, অ্যাভোকেট জিয়া উদ্দিন আরমান, অ্যাভোকেট কে.এম শান্তনু চৌধুরী।

২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৮০০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়ের করা ৫৫টি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। স্ত্রী জেবুন্নেসাসহ তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছেন বলে জানা গেছে।

মোহাম্মদ আলী একসময় ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের (এনসিসি) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। এই পদ ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। ব্যাংকে তার শেয়ার ২ শতাংশের নিচে নেমে যাওয়া এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ খেলাপি হওয়ায় তাকে এনসিসি বোর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।