একের পর এক সাংবাদিক নির্যাতন—আন্দোলনে সিইউজে

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রামে দুই সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, একজন সিনিয়র সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের প্রতিবাদে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে—চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)।
সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এসব ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে সমাবেশ আহ্বান করেছেন।

সিইউজে নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, ২১ এপ্রিল রাত সোয়া দশটার দিকে নগরের মনসুরাবাদ এলাকায় দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাদ্দাম হোসেন নামে এক সন্ত্রাসী ও তার সহযোগীদের হামলার শিকার হন সিইউজে সদস্য ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের স্টাফ ক্যামেরাপারসন সেলিম উল্লাহ। এ সময় তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা।

অন্যদিকে, সোমবার বিকেল তিনটার দিকে নগরের বন্দর থানাধীন পশ্চিম নিমতলা এলাকায় ওয়াসার পানির অবৈধ ব্যবসার ভিডিও করতে গেলে জনৈক ইকবালের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সিইউজের আরেক সদস্য ও চট্টগ্রাম প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার রিমন সাখাওয়াতের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দু’টি ঘটনাতেই সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি ফুটে ওঠেছে। যা সাংবাদিকতা পেশা ও কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য বড় ধরণের হুমকি। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িত চিহ্নিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।

এর আগে অপর এক বিবৃতিতে সিইউজে নেতৃবৃন্দ বলেন, কালো মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসীরা ১৭ এপ্রিল দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম প্রতিদিন সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখারের সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা গ্রামের বাড়িতে ঢুকে কেয়ারটেকারের হাত-পা বেঁধে মালপত্র লুটপাট করে। এ সময় তারা কেয়ারটেকারের কাছে সাংবাদিক তৌফিকের অবস্থানও জানতে চায়। তিনি বাড়িতে নেই—এমন কথা জানার পরও তারা প্রতিটি কক্ষ তল্লাশি করে। এমন ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং সাংবাদিক তৌফিক ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকিস্বরূপ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।