কর্ণফুলীতে অবৈধ ইটভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর পরিবেশ বিধ্বংসী অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের প্যারাগন ব্রিক নামে একটি ইটভাটায় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পীযুষ কুমার চৌধুরী।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কোন অনুমোদন ছাড়াই ইটভাটা তৈরি করে ইট পোড়ানো কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে বনের কাঠ জ্বালিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে, কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে। এসব কারণে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ অনুযায়ী ইটভাটার মালিককে নগদ ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও ইটভাটা নির্মাণের আগে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, বিএসটিআই, স্থানীয় ভূমি অফিসসহ সরকারি কয়েকটি সংস্থার ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু প্যারাগন ব্রিকস ফিল্ড এসব নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না।

অভিযানে চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হাসান সজীবসহ থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পীযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় প্যারাগন ব্রিকস ফিল্ডকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধের প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে, ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ দূষণের দায়ে প্যারাগন ব্রিকস ফিল্ডকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন তৎকালীন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মো. মোয়াজ্জম হোসাইন।

শুধু প্যারাগন ব্রিকস নয়, কর্ণফুলী উপজেলার জুলধার এক ইউনিয়নে রয়েছে ৮টি ইটভাটা। তারমধ্যে ৭ টি রয়েছে জুলধা মাতব্বর ঘাটে, অপরটি ডাঙ্গারচর এলাকায়। এগুলো হলো, পায়রা ব্রিকস (পিবিএম), এইচটিএম ব্রিকস, পিএনবি ব্রিকস (বর্তমানে বন্ধ), জিবিএম ব্রিকস, টিএলবি ব্রিকস, আর আর বি ব্রিকস, মোস্তফা-হাকিম ব্রিকস (ডাঙ্গারচর), ইআরএম ব্রিকস, টিএমবি ব্রিকস, এছাড়া চরপাথরঘাটার ইছানগরে রয়েছে ডায়মন্ড ব্রিকস। এসব ইটভাটায় ফসলি জমির টপসয়েল কাটা, বনায়নের গাছ পুড়ানোর অভিযোগও করেন স্থানীয়রা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।