চট্টগ্রামের উন্নত নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডগ স্কোয়াড চায় সিএমপি

চট্টগ্রাম বন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে প্রশিক্ষিত কুকুরের ডগ স্কোয়াড চায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশ (সিএমপি)।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অর্থ ও প্রশাসন) সানা সামিনুর রহমান। তিনি বলেন, ডগ স্কোয়াডের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় আমরা ২০টি কুকুরের ডগ স্কোয়াডের প্রস্তাবনা পুলিশ সদর দপ্তরে দিয়েছি। স্কোয়াড পরিচালনায় ৪০ জন জনবলেরও চাহিদা দিয়েছি। সদর দপ্তর এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি।

তবে, বিশেষ সূত্রে জানা গেছে সিএমপির চাহিদা অনুযায়ী শিগগির চালু হবে ডগ স্কোয়াড। সিএমপির পক্ষ থেকে ৮টি জার্মান শেফার্ড ও ১২টি ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুর চেয়েছে।

ডগ স্কোয়াড পরিচালানার জন্য দেশ ও বিদেশে পুলিশ কর্তকর্তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ছয় মাসের প্রশিক্ষণ শেষে একজন হ্যান্ডেলার তার কুকুরকে আয়ত্তে আনা শেখেন।

প্রসঙ্গত, ১২ জার্মান শেফার্ড ও ১৩ ল্যাব্রাডার নিয়ে ১৯৯৮ সালের ২০ নভেম্বর পুলিশ বাহিনীতে ডগ স্কোয়াড যুক্ত হয়। এরপর ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট ৪০টি কুকুর নিয়ে র‌্যাবেও ডগ স্কোয়াড যুক্ত হয়। পুলিশ বাহিনীতে ডগ স্কোয়াড যুক্ত হওয়ার ২২ বছর পরও তা চট্টগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ডগ স্কোয়াড যুক্ত না হওয়াটা অযৌক্তিক।

বর্তমানে দেশে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবিসহ একাধিক সংস্থা বিস্ফোরক শনাক্ত ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করছে। অবৈধ মালামাল কিংবা নিরাপত্তার জন্য হুমকি এমন পন্য শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে যাতে কেউ পরিবহণ করতে না পারে তার আরো কঠোরভাবে নিশ্চিত করবে ডগ স্কোয়াড।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সিএমপিতে আরও আগেই ডগ স্কোয়াড যুক্ত হওয়ার উচিত ছিল। তবে এর আগে ২০১৪ সালে তৎকালীন সিএমপি কমিশনার আব্দুল জলিল মন্ডল ডগ স্কোয়াডের অনুমতি চেয়েও পাননি। এবার পুলিশ সদর দপ্তর সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে জানা গেছে। এতে চট্টগ্রামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।