চট্টগ্রামে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৩৩ সদস্যের কমিটি

সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও ভয়াবহভাবে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হায়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৩৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে প্রধান করা হয় চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে। এতে সদস্য সচিব করা হয়েছে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকতা মুহাম্মদ আবুল হাশেমকে। এ ছাড়া কমিটিতে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকতা মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, নগরীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ এবং ডেঙ্গু চিকিৎসায় সুবিধা সহজীকরণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ না কমা পর্যন্ত ১৫ দিন পর পর সভা করে প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা নিধারণ করবে এ কমিটি।

সূত্রে জানা গেছে, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ ও ডেঙ্গু চিকিৎসা সুবিধা সহজ করার লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১১টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে চসিক।

সিদ্ধান্তুগুলোর মধ্যে রয়েছে—মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ভবন মালিককে জরিমানার আওতায় আনা হবে। এটি নিশ্চিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকাকালীন প্রতিদিন কমপক্ষে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে পরিচ্ছন্নতা বিভাগকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হবে। বছরব্যাপী ডেঙ্গু প্রতিরোধ বা মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা, ডেঙ্গু প্রতিরোধে গঠিত ওয়ার্ড কমিটিকে আরো সক্রিয় করে ওয়ার্ড পর্যায়ে নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে চলতি বছর ডেঙ্গুতে সর্বমোট ১ হাজার ১৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৩ জন। বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৭৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে জুলাই মাসে ৭০০ জন আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মারা গেছেন চার জন। জুনে ২৮২ জন আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মারা গেছেন ৬ জন, মে মাসে ৫৩, এপ্রিলে ১৮, মার্চে ১২, ফেব্রুয়ারিতে ২২ ও জানুয়ারিতে ৭৭ জন আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মারা গেছেন তিন জন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।