চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের পূর্বাভাস জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর

জলাবদ্ধ চট্টগ্রামে এবার ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে ঘটতে পারে পাহাড় ধসের ঘটনা! বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ডুবে আছে চট্টগ্রাম নগরীর বিস্তৃত এলাকা। শনিবার থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ৮ শতাধিক পরিবারকে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে নামিয়ে এনেছে। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

এমন পরিস্থিতে রোববার (৬ আগস্ট) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে পাহাড় ধসের পূর্বাভাস। আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বার্তায় জানানো হয়—‘সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিমি বা তারও বেশী) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ী এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে।’

অপর দিকে চট্টগ্রাম প্রধান আবহাওয়া কার্যালয়ের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন—বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ২৩১ দশমিক ৪ মিমি এবং আমবাগান অফিস ১৯৬ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। সমুদ্র বন্দরের জন্য তিন নম্বর সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরের জন্য দুই নম্বর নৌ-হুশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, মানুষের জানমাল রক্ষার্থে চট্টগ্রাম মহানগরে ৬টি সার্কেলের মাধ্যমে ভাগ করে পাহাড় রক্ষা এবং মানুষের জানমাল রক্ষায় জেলা প্রশাসনের কয়েকটি টিম কাজ করছে। প্রতিদিন মাইকিং থেকে শুরু করে মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। রোববার দুপুর পর্যন্ত আমরা ৮ শতাধিক পরিবারকে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে এনেছি। তাদের খাবারেরও ব্যবস্থা করেছি। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে নগরীর টাইগারপাস—লালখানবাজার সড়কে পাহাড় ধসে পড়েছিল। শনিবার রাতে বায়েজিদ লিংক রোডের একাদিক স্থানে পাহাড়ের মাটি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।