চট্টগ্রামে বুথসহ ভ্যাট স্ট্যান্ড বসানোরও উদ্যোগ

করদাতাদের সেবা দিতে চট্টগ্রামে বিভিন্ন মার্কেটের সামনে দশটি ‘ভ্যাট বুথ’ এবং উম্মুক্ত স্থানে পাঁচটি ‘ভ্যাট স্ট্যান্ড’ বসাচ্ছে কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। মার্কেট সমূহে ভ্যাট কর্মকর্তা ও দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এসকল বুথ-ভ্যাট স্ট্যান্ড বসানো হবে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি করদাতাদের সেবা দেওয়ার জন্য এই উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করদাতারা সেবা পাবেন। যে সকল মার্কেটের সামনে ‘ভ্যাট বুথ’ বসছে সেগুলো হলো-নিউ মার্কেট, জহুর আহমেদ হকার্স মার্কেট, গোলাম রসুল মার্কেট, টেরীবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার, সানমার ওশান সিটি ও চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স। এছাড়া কক্সবাজারের আমিরাবাদ, বড়বাজার ও লোহাগাড়ায়ও ভ্যাট বুথ স্থাপন করা হবে।

একইসাথে চান্দগাঁও, পটিয়া, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান বিভাগের ক্ষেত্রে বিভাগীয় ভ্যাট দপ্তরের হেল্প ডেস্ক থেকে সেবা প্রদান করা হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভ্যাট বুথের পাশাপাশি ইএফডিকে জনপ্রিয় করা, অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন প্রদান, ভ্যাট রিটার্র্ন দাখিলসহ ভ্যাট সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ‘ভ্যাট স্ট্যান্ড’র এই উদ্যোগ। যে সকল জনবহুল স্থানে এগুলো বসানো হবে তা হলো- কাজির দেউড়ি মুক্তমঞ্চ, সিইপিজেডের প্রবেশ মুখে বাম পাশে খালি জায়গায়, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট আগ্রাবাদের সম্মুখ প্রাঙ্গণ, জিইসি কনভেনশন সেন্টারের সামনে খোলা মাঠ এবং হোটেল- মোটেল জোন, কলাতলী, কক্সবাজার। ৭টি শপিংমলে ভ্যাট কর্মকর্তা ও মার্কেট প্রতিনিধির সমন্বয়ে ভ্যাট বুথ স্থাপন করা হবে। সেগুলো হলো নিউ মার্কেট, জহুর আহমেদ হকার্স মার্কেট, গোলাম রসুল মার্কেট, টেরীবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার, স্যানমার ওশান সিটি ও চিটাগাং শপিং কমপ্লেঙ। এছাড়া কঙবাজারের আমিরাবাদ, বড়বাজার ও লোহাগাড়ায়ও ভ্যাট বুথ স্থাপন করা হবে।

একইসাথে চান্দগাঁও, পটিয়া, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান বিভাগের ক্ষেত্রে বিভাগীয় ভ্যাট দপ্তরের হেল্প ডেস্ক থেকে বর্ণিত সেবাসমূহ প্রদান করা হবে।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও করদাতাগণদের সেবা প্রদান সহজকরণের লক্ষ্যে ২০২২ সালের শুরুতেই ভ্যাট সম্পর্কে ‘ভ্যাট বুথ’ এর পাশাপাশি ‘ভ্যাট স্ট্যান্ড’ স্থাপন করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদেরকে নিকটস্থ ভ্যাট বুথ ও ভ্যাট স্ট্যান্ড-এ এসে নিবন্ধন গ্রহণ, রিটার্ন দাখিল ও অন্যান্য সেবা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে চট্টগ্রামবাসীকে যে কোন কেনাকাটায় মূসক চালান বুঝে নেয়ার অনুরোধ করেন তিনি। যে সমস্ত দোকানে ইএফডি মেশিন বসানো হয়েছে, সে সকল দোকান থেকে পণ্য ক্রয়ের সময় মূসক চালান সংগ্রহ করলে একদিকে যেমন সরকারি কোষাগারে মূসক জমা নিশ্চিত হয়, অন্যদিকে ক্রেতাদের লটারিতে পুরষ্কার জেতার সম্ভাবনা থাকে বলে জানান মোহাম্মদ আকবর হোসেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।