চট্টগ্রামে যৌতুকের চাপ—গায়ে হলুদের শাড়ীর বদলে কনের গায়ে কাফনের কাপড়

চট্টগ্রামে পটিয়া উপজেলায় রিমা আক্তার নামের এক তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার কারণ হিসেবে তার হবু স্বামী পক্ষের যৌতুকের দাবীকে দায়ী করেছেন। রিমা পটিয়া সরকারি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। যৌতুক দাবী করা মিজানুর রহমান মোরশেদ আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) তার গায়ে হলুদের আগেই তিনি ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহনন করেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন বলে জানান পটিয়া থানার ওসি জসিম উদ্দিন।

স্থানী সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের বাসিন্দা রিমা আক্তার ও মিজানুর রহমান মোরশেদের তাদের দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক, এরপরে পারিবারিক সম্মতিতে ঠিকঠাক হয় বিয়ের দিনক্ষণ। বিয়েতে আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত খাওয়াতে গরু কেনা থেকে শুরু করে সব সম্পন্ন করে কনে পক্ষ। সবকিছু ঠিক চলছিল, তবে বিয়ের আগে গায়ে হলুদের দিন এসে বাধে বিপত্তি।

কনের স্বজনরা জানান, বরযাত্রী হিসেবে ৫০০ মানুষের আয়োজন করার কথা তাদের। তবে বিয়ের কয়েকদিন আগে ছেলেপক্ষ থেকে বরযাত্রী পাঠাবে না জানিয়ে কনেপক্ষকে নগদ ২ লাখ টাকা দিতে বলে। সে টাকা কনে পক্ষ বর পক্ষকে পরিশোধ করেন। এরপর গায়ে হলুদের আগেই যৌতুক হিসেবে ফার্নিচার ও আসবাপত্র না দিলে বিয়ের আসরে বর মোরশেদ আসবে না বলে জানানো হয় রিমাকে। এটা জেনে গায়ে হলুদের আগেই চিরকুটে আত্মহত্যা করেন রিমা।

রিমার আত্মহত্যার খবর শুনে মোরশেদের পরিবার ঘরে তালা ঝুলিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যম কর্মীরা মোরশেদের পরিবারের বক্তব্য জানতে তাদের বাড়িতে গিয়ে ঘরে তালা ঝোলানো পায়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।