চট্টগ্রামে ৩ ইয়াবা পাপীর ২০ বছর কারাদণ্ড, একজনের ৬ বছর

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে ধরা পড়া আলোচিত মাদক মামলার আসামি শ্যামল মজুমদার, মো. মামুন হোসেনও আয়শা সিদ্দিকার একই মামলার দুই ধারা ১৪ ও ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাস ও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই মামলার আসামি আব্দুল্লাহ আল আমানকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস আক্তারের আদালত এই রায় প্রদান করেন।

ডবলমুরিং থানার বেপারীপাড়া কমিশনার গলির আবুল হোসেন সওদাগরের পাঁচতলা ভবনের তৃতীয় তলায় ২০১৭ সালে ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে ইয়াবা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছিল প্রায় ১০০ কেজি ইয়াবা তৈরির বিপুল পরিমাণ উপাদান, সরঞ্জাম ও আড়াই লাখ পিস ইয়াবা।

শ্যামল মজুমদার চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বিনাজুরী গ্রামের গৌর গোপাল মহাজন বাড়ির নারায়ণ মজুমদারের ছেলে, আবদুল্লাহ আল আমান লোহাগাড়া উপজেলার মজিদেরপাড়া গ্রামের পেশকার বাড়ির বশির আহম্মদের ছেলে, মো. মামুন হোসেন কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জহুর আলী ভূঁইয়া বাড়ির আমিনুল হকের ছেলে ও আয়শা সিদ্দিকা লোহাগাড়া উপজেলার আবদুল গনির মেয়ে।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান বাদি হয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন। আসামিদের তিন দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।