চবিতে সপ্তম মেধাতালিকা প্রকাশের দাবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রমে সপ্তম মেধাতালিকা ও মাইগ্রেশন তালিকা প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভর্তিচ্ছু কিছু শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের সামনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করে।

মানববন্ধনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবিদ হোসাইন বলেন, আমরা জানি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উচ্চ এবং গুণগত শিক্ষার অন্যতম ক্ষেত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে কঠোর পরিশ্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করলেও ৭ম মেধা তালিকা প্রকাশ না করায় উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এমতাবস্থায় আমাদের জীবন নানারকম বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। উপাচার্য মহোদয়ের নিকট বিনীত নিবেদন থাকবে পরবর্তী মেধা তালিকা প্রকাশ করে আমাদের সুন্দর ভবিষ্যত তৈরি করার সুযোগ দিন।

অপর শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈমা বলেন, ৬ষ্ঠ মেধা তালিকা দেওয়ার পরও তিনশতাধিক আসন ফাঁকা থাকায় আশা করেছিলাম পরবর্তী মেধা তালিকায় সাবজেক্ট আসবে তাই অন্য কোথাও ভর্তি হইনি।এই পরিস্থিতিতে আমি এবং আমার পরিবার অনেক দুশ্চিন্তার মধ্যে কাটাচ্ছি। ভর্তি কমিটির নিকট একটাই অনুরোধ যেন দ্রুত ৭ম মেরিট দেয়।

এছাড়াও তারা এর আগে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন ভর্তিচ্ছুরা। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা স্মারকলিপি নিয়ে সচিবের কাছে গিয়েছিলাম উনি আমাদের কে উপাচার্য মহোদয়ের রুমে পাঠিয়ে দেয়। পরে উপাচার্য রুম থেকে জানানো হয় প্রক্টর যেভাবে নির্দেশনা দিবে সেভাবে কাজ হবে। দীর্ঘ তিন ঘন্টা অপেক্ষা করার পর প্রক্টর লিখিত ভাবে আমাদের উপাচার্যের নিকট পাঠানোর ব্যাবস্থা করে দেয়। আমরা উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার চেষ্টা করলে ম্যামের ব্যাক্তিগত সহকারি আমাদের স্মারকলিপি গ্রহণে অস্বীকার করে।

এদিকে সপ্তম মেরিট দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে ভর্তি কমিটির সচিব ও একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার এম আকবর হোছাইন বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি আমাদের একটা মিটিং হবে এবং সে মিটিংয়ে যদি সিদ্ধান্ত হয় মেধা তালিকা দেওয়ার তাহলে অবশ্যই সপ্তম মেরিট প্রকাশিত হবে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে খালি রয়েছে ১০৫ আসন। এছাড়া কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের বি ও বি১ ইউনিটে ৮৩, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সি, সি১ ও সি২ ইউনিটে ৬৫ এবং সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডি ইউনিটে ৫২ আসন খালি রয়েছে। সেই হিসাবে মোট খালি আসনের সংখ্যা ৩০৫টি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।