চাকরির প্রলোভনে তরুণীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) তরুণীর বোন বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করলে প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শিকলবাহার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল গফুরের পুত্র ও ভবনের কেয়ারটেকার মো. সেকান্দর (৩৮), পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মনসা এলাকার ইদ্রিসের পুত্র মো. নাঈম উদ্দিন (২৮), আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন বাদামতল এলাকার বজল বাড়ির মৃত আলী আকবরের ছেলে মো. মুছা (৪৭)।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন।

তিনি বলেন, চাকরি দেওয়ার কথা বলে তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে এবং পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গত বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের জামালপাড়া এলাকার হাসনাত ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

মামলার এজাহার সূত্র জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাধে পরিচিয় হয় সহকর্মী মালিয়া (১৯) সঙ্গে। পোষাক কারখানার চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালে মালিয়া তার পরিচিত কর্ণফুলীর শিকলবাহার সূর্যের হাসি ক্লিনিকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেন ভুক্তভোগী তরুণীকে। এরপর ৬ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সহকর্মী মালিয়া নিয়ে আসেন কর্ণফুলীতে। এনে তার পরিচিত গ্রেপ্তারকৃত মুছা (৪৭) হাতে তুলে দেন তার সহকর্মীকে। মুছা সিএনজিযোগে নিয়ে আসেন কর্ণফুলীর উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের জামালপাড়া এলাকার হাসনাত ভবনে। মুছাসহ গ্রেপ্তারকৃতরা হাত-পা বেঁধে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তরুণীকে। এ সময় স্থানীয়রা ভবনটি ঘেরাও করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তরুণীকে উদ্ধার এবং ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।