উৎসাহ-উদ্দীপনায় ২০তম ‘চুয়েট দিবস’পালিত

দিনভর নানান কর্মসূচি এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ২০তম ‘চুয়েট দিবস’উদযাপিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করা হয়।

এদিন সকালে ২০তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে এক আনন্দ র‌্যালি রেব করা হয়। বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে প্ল্যাকার্ড ও ফ্যাস্টুন নিয়ে চুয়েটের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে ইএমই ভবনের উত্তর পাশে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের স্মারক বৃক্ষরোপণ করা হয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে আলোচনা পর্বের প্রধান অতিথি চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও জনকল্যাণমূলক গবেষণাই হচ্ছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ। সরকারের রূপকল্প-২০৪১ অনুসরণে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চুয়েট প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি চুয়েট ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে দেশের প্রথম শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধন করেছেন। আমরা আশা করবো, এই ইনকিউবেটরের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে তরুণ প্রজন্ম ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, ভবিষ্যত প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা কেবলই জ্ঞান ও উদ্ভাবনের ভোক্তা হয়ে থাকলে হবে না। আমাদেরকেও নির্মাতার ভূমিকায় আসতে হবে। সেজন্য প্রকৌশলী সমাজ ও বিজ্ঞানীদের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি চুয়েটে সে ধরনের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির সুযোগ রয়েছে।

চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।

এরআগে অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়েটের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে চুয়েট মেডিকেল সেন্টারে রক্তদান কর্মসূচি, পরে শিক্ষক বনাম ছাত্র ও কর্মকর্তা বনাম কর্মচারী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা-গবেষণার একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চুয়েট আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির অধীনে ১৯৬৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ‘চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের ১ জুলাই স্বায়ত্ত্বশাসিত ‘বিআইটি, চট্টগ্রাম’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।