ছিনতাইকারীদের লোভের বলি ফটোগ্রাফার শাওন

চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ের অনন্যা আবাসিকে কলেজছাত্র শাওন বড়ুয়া খুনের ঘটনায় ৫ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সাথে ছিনতাইকৃত ক্যামেরা উদ্ধার করে হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. ইমতিয়াজ আলম মুরাদ, আশহাদুল ইসলাম ইমন, মো. তৌহিদুল আলম, মো. বাহার ও মো. আলমগীর।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর) পঙ্কজ দত্ত।

তিনি বলেন, নগরীর চাদগাঁও থানাধীন বাহির সিগন্যাল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ইমন ও তৌহিদ। অন্যজনের হয়ে তারা বিভিন্ন বিয়ে অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফির কাজ করতেন। পরে তাদের একটি ডিজিটাল ক্যামেরার শখ জাগে। বিষয়টি তারা এলাকার বড় ভাই বাহারকে জানায়। বাহারসহ মিলে তারা ক্যামেরা ছিনতাইয়ের ফন্দি আঁটেন। সেখানে তারা যুক্ত করে সিএনজি অটোরিকশা চালক আলমগীর ও মুরাদকে। তারা প্রথমে কয়েকটি ফেসবুক পেইজে বিয়ে বাড়িতে ফটোসেশান করার জন্য যোগাযোগ করেন। অনেকেই তাদের সাড়া দেয়নি। একপর্যায়ে জনি বড়ুয়া নামে এক ফটোগ্রাফার সাড়া দেন। তিনি শাওন বড়ুয়ার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তারা বিয়ে অনুষ্ঠানের কথা বলে শাওনকে বেপারি পাড়ার ভাঙা পুলের মাথায় আসতে বলেন। সেখানে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে ইমন, তৌহিদ ও চালক আলমগীর অপেক্ষায় থাকেন। মুরাদ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাহির সিগন্যাল ম্যাফ সুজ গার্মেন্টসের সামনে থেকে শাওন বড়ুয়াকে রিসিভ করে নিয়ে যায়। ঘটনাক্রমে অপেক্ষায় থাকা সিএনজি অটোরিকশার দিকে না গিয়ে অন্যদিকে চলে যায় মুরাদ। পরে বিষয়টি শাওন আঁচ করতে পারলে মোটরসাইকেলের মধ্যে দুজনের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মুরাদ শাওনের উরুতে ছুরিকাঘাত করে। পরে শাওন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সে সুযোগে মুরাদ একের পর এক শাওনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৭টি ছুরিকাঘাত করেন।

পঙ্কজ দত্ত বলেন, অভিযুক্তরা ভেবেছিলো নির্জনে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই, থাকবে না কোনো লোকসমাগম। কেউ কোন কিছু জানতে পারবেও না। তারা শাওনেক হত্যার পর তারা ক্যামেরা নিয়ে পালিয়ে গেলেও ফেলে যায় মুঠোফোন। আর সেই মুঠোফোন দিয়ে হত্যাকারীদের শনাক্ত করেন পুলিশ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।