জয়ের পথে বাংলাদেশ

বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে মাত্র ১৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। তাই খুব একটা চাপ ছাড়াই সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নামেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান। কিন্তু প্রথম পাওয়ার প্লের ভেতরেই সাজঘরে ফিরে গেলেন তারা। দুই ওপেনারের নড়বড়ে শুরুর পর মিরাজ-শান্তের ব্যাটে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান করেছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৭ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাট করছেন ২৫ রানে। জয়ের জন্য বাংলাদেশের আর দরকার ৬২ রান।

এর আগে, ধর্মশালায় আজ টস জিতে আগে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। অথচ শুরুটা ছিল ভীষণ হতাশার। আফগানিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার রান করছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শরীরি ভাষাও ছিল কেমন যেন। সবকিছুই বদলে যায় সাকিবের এনে দেওয়া প্রথম উইকেটের পর, ইব্রাহিম জাদরানকে আউট করেন তিনি। ২৫ বলে ২২ রান করে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

পরের উইকেটটা কার? সাকিব আল হাসানেরই। এবার রহমত শাহ সিলি মিড অফে দাঁড়ানো লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন ২৫ বলে ১৮ রান করে। শুরু থেকে ধুঁকতে থাকা আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৮ রান করতে তিনি খেলেন ৩৮ বল।

এরপর কেবল আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিল আফগানিস্তান। এক প্রান্ত আগলে রাখা রহমানউল্লাহ গুরবাজও খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে তাকে শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ব্যাটিং ধসের সেই শুরু। যে কারণে ৩ উইকেটে ১১২ রান থেকে আর মাত্র ৪৪ রানই যোগ করতে পারে আফগানরা। বাংলাদেশের হয়ে সাকিব ও মিরাজ দুজনেই ঝুলিতে পুড়েন তিন উইকেট। এছাড়া শরিফুল দুটি, তাসকিন ও মোস্তাফিজ নেন একটি করে উইকেট।

জবাব দিতে নেমে দলীয় ১৯ রানেই ভাঙে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। নাজিবুল্লাহ জাদরানের থ্রোয়ে রানআউট হয়ে ফেরেন পাঁচ রান করা তানজিদ। লিটনও তার পথ ধরেন দ্রুত। ফজল হক ফারুকির বলে বোল্ড হয়ে ১৩ রানে আউট হন ডানহাতি এই ওপেনার।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।