জাতির পিতার শাহাদতবার্ষিকীতে ১০ হাজার মানুষের ভোজের আয়োজন করলেন জাহাঙ্গীর আলম

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এতিম-গরীব-অসহায় ও দুস্থদের মাঝে তোবারক বিতরণ করেছেন নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের গণমানুষের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

জাতির পিতার শাহাদতবার্ষিকীতে ১০ হাজার মানুষের ভোজের আয়োজন করলেন জাহাঙ্গীর আলম 1

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতার শাহাদতবার্ষিকীতে জনপ্রিয় এই আওয়ামী লীগে নেতার আয়োজনে কোরআন খতম, দোয়া, মিলাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব কর্মসূতিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌরসভা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ১০ হাজার লোকের উপস্থিতি ছিলেন।

আলোচনা সভায় মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে ১৫ আগস্ট। ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। ১৭ আগস্ট সারাদেশে পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফোটানো হয়েছে। ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলাতেই বোমা ফোটানো হয়েছে।’

জাতির পিতার শাহাদতবার্ষিকীতে ১০ হাজার মানুষের ভোজের আয়োজন করলেন জাহাঙ্গীর আলম 2

আওয়ামী লীগের তরুণ এই নেতা বলেন, বাঙালি জীবনের বেদনাবিধূর এই মাস এলেই দেশ বিরোধী অপশক্তি তৎপর হয়। সে জন্য আমাদের সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আর দেশকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু তনয়ার নেতৃতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

জাতির পিতার শাহাদতবার্ষিকীতে ১০ হাজার মানুষের ভোজের আয়োজন করলেন জাহাঙ্গীর আলম 3

তিনি বলেন, খুনিরা খুন করে বিভিন্ন দেশে পালিয়েছিল। জিয়াউর রহমান তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে ছিল। জাতির পিতার খুনের বিচার বন্ধ করতে অধ্যাদেশ জারি করেছিল। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছেন।

২১ আগস্টের বোমা হামলার স্মৃতিচারণ করে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার নির্মমতার স্বাক্ষী আমি নিজেও। আল্লাহর রহমত ছিল বলে সেদিন নেত্রী বেঁচে গেছেন, আমিও বেঁচে গেছি।

জাতির পিতার শাহাদতবার্ষিকীতে ১০ হাজার মানুষের ভোজের আয়োজন করলেন জাহাঙ্গীর আলম 4

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা শাকিল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্যা পটোয়ারী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান খান বাবুল প্রমূখ।
অপরদিকে সোনাইমুড়ীতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন সুজন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আবু ছায়েম, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোশাররফ হোসেন দুলাল উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জাতির পিতাও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নুর মোহাম্মদ রাসেল।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।