ড. আবু ইউসুফের নামে চবির নতুন কলা ভবনের নাম প্রস্তাব

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্র‍য়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফের নামে নামকরণ করার প্রস্তাব জানিয়েছেন আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল আলম।
এছাড়াও নতুন কলা ভবনের সাথে পুরাতন কলা ভবনের মধ্যে সংযোগ সেতু স্থাপন ও পুরাতন কলা ভবনে লিফট স্থাপনের আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে বিষয়টি উপাচার্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার অধ্যাপক রফিকুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বরাবর একটি আবেদনপত্র পেশ করেন। এতে সুপারিশ করেন আরবী বিভাগের সভাপতি ড. শাযাআত উল্লাহ ফারুকী এবং কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মহিবুল আজীজ।

আবেদনপত্রে বলা হয়, ২য় কলা ভবন নির্মাণে প্র‍য়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফের ভূমিকা ছিল মূখ্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে তার অবদান অপরিসীম। তিনিই একমাত্র উপাচার্য যিনি উপাচার্যের দায়িত্বরত অবস্থায় ইহলোক ত্যাগ করেন। এসব দিক বিবেচনায় নতুন কলা ভবনের নাম প্রফেসর ড. আবু ইউসুফের নামে নামকরণ করার প্রস্তাব করছি। একইসাথে নতুন কলা ভবন ও পুরাতন কলা ভবনের মাঝে সংযোগ সেতু স্থাপনের আবেদন জানাচ্ছি। একইসাথে উক্ত সেতুর নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের নামে নাম করার প্রস্তাব করছি।

এতে আরো বলা হয়, পুরাতন কলা ভবন অতি পুরাতন হবার কারণে লিফট স্থাপন করা হয়নি। অথচ সিঁড়ির ধাপগুলো উচু হওয়ার কারণে বয়স্ক ও অসুস্থ ছাত্র শিক্ষকদের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হয়। তাই পুরাতন কলা ভবনে লিফট স্থাপনের অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল আলম চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন। তাঁর প্রচেষ্টাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সমাজবিজ্ঞান ভবন, নতুন বিবিএ ভবন এবং কাটা পাহাড় সড়ক হয়েছে। ২য় কলা ভবন নির্মাণেও তার ভূমিকা ছিল মূখ্য। এছাড়াও তিনি দেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন।

তাই আমি নতুন কলা ভবনের নাম অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফের নামে হওয়াটাকেই উপযুক্ত মনে করছি।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ড. আবু ইউসুফ। এক আদর্শিক জীবনের অধিকারী ছিলেন প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ আলম। বাঙ্গালী জাতি সত্তার মৌলিক ও বাস্তব অনুভূতির বিকাশ ঘটাতে তিনি নতুন সমাজ বিনির্মাণ করার সংগ্রামে জীবনভর শিক্ষকতার মতো মহৎ পেশাকে বেছে নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বাংলাদেশ গড়তে আমৃত্যু তিনি ছিলেন অবিচল। এই মহৎপ্রাণ শিক্ষকের যাপিত জীবন ছিল শুদ্ধতম বাঙালীয়ানার অন্যন্য উপমা হিসেব আজীবন অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।