তথ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ : নতুন ভবন পাচ্ছে সাপলেজা পাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীরা

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নে সাপলেজা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা পাঠদানের জন্য নতুন ভবন পাচ্ছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপির বিশেষ উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

২০১২ সাল থেকে দীর্ঘ ৯ বছর জরাজীর্ণ ভবনে পাঠকার্যক্রম চলতে থাকে সাপলেজা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে স্যাঁতসেঁতে দেয়াল থেকে খসে পড়তে শুরু হয় পলেস্তারা। পরে ২০২১ সালে ভবনটির পুন:নির্মাণের আশা পেলে জরজীর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হয়।

এরপর শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় টিনের ছাউনি দিয়ে শ্রেণিকক্ষ তৈরী করা হয়। এতেই ১ বছর ধরে প্রায় সাড়ে ৩০০ কমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে টিনের ছাউনিতে পাঠদান চলতে থাকে।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে তিনি নতুন ভবন উপহার দেওয়ার কথা জানান স্থানীয়দের। অবশেষে কোমলমতি শিশুদের জন্য ভবন নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগ জানায়, পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় ৯২ লক্ষ টাকা বাজেটে চার তলা ফাউন্ডেশনের ১ তলা বিশিষ্ট ভবনে ৪ টি ক্লাসরুম থাকবে।

সরেজমিন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকমাস আগে যেখানে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের কথা ছিল ঠিক সেই জায়গায় নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পিলার তৈরি শুরু হয়েছে। পাশে টিনের ছাউনিতে পড়াশোনা করছেন কোমলমতি শিশুরা।

শীঘ্রই নতুন ভবনের কাজ শেষ করবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ইতোমধ্যেই কাজ চলমান রয়েছে।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুনায়েদ নুর ইফতি জানান, টিনের ছাউনির নিচে পড়ালেখা করতে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। ভবন ভেঙে যাওয়ার প্রায় ১ বছর পর আমাদের বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। ১ বছর অপেক্ষা করেছি এমন একটি নতুন ভবনের জন্য, আর কিছুদিন অপেক্ষা করলে আমরা নতুন ভবনে পড়ালেখা করবো। আমাদের অনেক খুশি লাগছে।

অভিভাবক দিদারুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন হওয়ার কথা অনেক আগে। অনেকদিন বিদ্যালয়ের কমলমতি শিশুদের কষ্ট করতে হয়েছে।

বিদ্যালয়ের ঠিকাদারী কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার জসিম উদ্দিন জানান, টেন্ডার তো অনেক আগে হয়েছিল। কিন্তু জমি নিয়ে বিরোধের কারণে কাজ শুরু করতে পারিনি। তাই জমি সংক্রান্ত ঝামেলা শেষ করতে গিয়ে আমাদের কাজ শুরু করতেও দেরি হলো। এখন আমরা কার্যাদেশ পেয়েই তারপর কাজ শুরু করেছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছোটন কান্তি বড়ুয়া জানান, বিদ্যালয় প্রবেশপথে ময়লা আবর্জনা ও জরজীর্ণ ভবন নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে ইউএনও মহোদয়, শিক্ষা অফিসার ও স্থানীয় সরকার বিভাগ এসে স্কুল পরিদর্শন করেন। অবশেষে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা খুশি।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী দিদারুল আলম জানান, কিছু সমস্যার কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিতে দেরি হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণের ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি মহোদয়ের বিশেষ উদ্যোগে ভবন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। শীঘ্রই চার তলা ফাউন্ডেশনের ১ তলা বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।