তারিন ‘হত্যা’ মামলা—স্বামী রিমান্ডে, দেবরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে কারা ফটকে

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর গৃহবধু তারিন আকতারের (২৪) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় তার স্বামী আরকাদুল ইসলাম রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। দেবর মো. আরফাতকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।

রোববার (১৬ জুলাই) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালত ফারদিন মোস্তাকিম এ আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী ও বাদীপক্ষে ছিলেন এডভোকেট শেখ সরফুদ্দীন সৌরভ।

গত ৫ জুলাই সকাল ১০টার দিকে তারিরেন শ্বশুর বাড়ি (হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নুর আলী মিয়ারহাট সংলগ্ন লাতু চৌধুরীর বাড়ি) থেকে ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় তার ভাই শাহেদ আলম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
নিহত ফাহমিদা আক্তার তারিন ফটিকছড়ি নাজিরহাট পূর্ব ফরহাদাবাদ তালুকদার বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। গত ২০১৯ সালে আরকাদুল ইসলাম রুবেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তারিনের।

নিহতের ভাই মো. শাহেদ আলম জানান, বিয়ের পর থেকেই তারিন আকতারকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত স্বামী ও তার পরিবার। শিক্ষিত শান্তশিষ্ট হওয়ায় পিত্রালয়ে জানালেও কখনো বিচার করতে দেয়নি। সন্তানের দিকে তাকিয়ে সবকিছু মুখবুঝে সহ্য করত। শেষ পর্যন্ত আমার বোনকে তারা ‘হত্যা’ করলো।

তিনি আরও বলেন, চার বছর সংসার জীবনে আমার বোনকে তার স্বামী ভরণপোষণ দিতে পারেনি। আমার বোনের সকল প্রয়োজন মেটাতে হতো আমাদের। এছাড়া ব্যবসার জন্য রুবেলকে গত মাসে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। বিয়ের এক বছর পর থেকে সাংসারিক নানা বিষয়ে ভুল ধরে তারিনকে অত্যাচার করতো স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।