ধর্ষণের শিকার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী, ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

গ্রাম আদালতে অভিযোগ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়নে ধর্ষণের শিকার হয়েছে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রী। ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ভুক্তভোগী ছাত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জানতে পেরে ঘটনাটি প্রকাশ করে কিশোরীর পরিবার। কিশোরীর পরিবার থেকে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হয় নিলাম কর্মকার (৩২) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ধর্ষণের বিচার চেয়ে অভিযুক্ত নিলাম কর্মকারের বিরুদ্ধে বড়উঠান ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

অভিযুক্ত নিলাম কর্মকার একই এলাকার হাওলাদার বাড়ির একটি ঘরে ভাড়া বাসায় থাকেন। তার পিতার নাম প্রদীপ কর্মকার।

সরেজমিনে মরিয়ম আশ্রম খ্রিস্টান পাড়ায় গিয়ে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিলাম ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এতে ভুক্তভোগী ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

ধর্ষণের শিকার ৮ম শ্রেণীর কিশোরী জানান, সাত মাস আগে একদিন বিকেল বেলা একা একা ঘরের কাজ করার সময় তার কক্ষে ঢুকে পড়ে নিলাম কর্মকার। সেময় ঘরে কেউ না থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিশোরীটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এঘটনা জানাজানি হলে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় নিলাম। পরে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তার দেখানোর পর জানতে পারেন সে সাত মাসের অন্তঃসত্তা।

সমাজের কর্তা পেইন্টিক হাওলাদার বলেন, অভিযুক্ত নিলাম কর্মকার বউ সন্তান নিয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে সকালে বের হয়ে গেছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এটি নিয়ে সামাজিক বৈঠক রয়েছে। এঘটনায় আজ থানায় একটি অভিযোগ করা হবে তার বিরুদ্ধে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, ঘটনাটি আসলে দুঃখজনক। অভিযোগ পাওয়ার পর আমি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে সেখানে পাঠাই এবং অভিযুক্ত বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়৷

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, এঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত পদক্ষেপ নিয়ে ঘটনার জড়িত বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।