নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজ গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ ও যুবদল নেতা আরিফুর রহমান আরিফকে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর বন্দরস্থ কলসি দিঘি সড়কে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার। তিনি বলেন, বন্দর থানার আগের মামলায় সাসপেক্ট থাকায় এম এ আজিজ ও আরিফুর রহমান আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এমএ আজিজ গ্রেপ্তার হওয়ায় বিএনপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি পলাতক এবং মাঠে নেই এমন নেতাদের নামে নিন্দা ও প্রতিবাদ পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী পাঠানো বিবৃতিতে ২৮ অক্টোবর থেকে পলাতক গোলাম আকবর খন্দকারের নাম যেমন রয়েছে তেমনি কোনো কর্মসূচিতে দেখা না যাওয়া মীর মো. নাছিরের নামও রয়েছে।

এছাড়া গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় র‌্যালির নেতৃত্ব দেয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, নগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের নাম রয়েছে।

নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজ গ্রেপ্তার 1
পুলিশের হাতে আটক নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ ও যুবদল নেতা আরিফুর রহমান আরিফ

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আসন্ন ৭ জানুয়ারীর আসন ভাগাভাগির ডামি নির্বাচন একতরফাভাবে করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে আওয়ামী সরকার বিএনপি নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করছে। বিএনপিকে নেতৃত্বশুন্য করতেই সরকার বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে ধারাবাহিকভাবে গ্রেপ্তার করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার বিএনপির নেতৃত্বে চলমান একদফার অসহযোগ আন্দোলনে ভীত হয়ে পড়েছে। তাই সরকার গ্রেপ্তার নির্যাতন চালিয়ে বিএনপির আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করছে। এর ধারাবাহিকতায় পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ বিএনপি নেতা এম এ আজিজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এম এ আজিজ স্থানীয় মসজিদে জুমার নামাজ আদায় সাধারণ মানুষের মাঝে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করছিলেন। এই সরকার সামান্য লিফলেট বিতরণ কর্মসূচীকেও সহ্য করছে না। কিন্তু বিএনপির আন্দোলন দমানোর জন্য সরকারের কোন কৌশলই সফল হবে না। বিএনপির নেতৃত্বকেও দুর্বল করা যাবে না। কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপির সর্বশেষ ব্যক্তিটি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন হবে।

নেতৃবৃন্দ এম এ আজিজসহ ইতিপূর্বে চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।