নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করলেন তিন শিল্পপতি-রাজনীতিবিদ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে তিন আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন, তিনজনই প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি আবার তিনজনই আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। মনোনয়নের সময় তিনজনই নৌকা প্রতীক চেয়েছিলেন। নৌকা চাওয়ার যোগ্যতা তারা দল এবং জোটের প্রার্থীকে হারিয়ে প্রমাণ করলেন।
তাঁরা হলেন ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, বনফুল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোতালেব ও স্মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান। তাঁরা তিনজনই সংসদে নতুন মুখ।

৭ জানুয়ারি (রোববার) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে তারা নির্বাচিত হন।

চট্টগ্রাম-৮ আসনে নির্বাচিত আবদুচ ছালাম কেটলি প্রতীকে নির্বাচন করে ফুলকপি প্রতীকের বিজয় কুমার চৌধুরীকে পরাজিত করেছেন। আসনেটিতে ৭৮ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়েছেন আবদুছ ছালাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী পান ৪১ হাজার ৫০০ ভোট৷ এ আসনে ছালাম-বিজয় ছাড়াও নির্বাচনের মাঠে ছিলেন আরও ৮ প্রার্থী।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে টানা দুইবারের সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে হারিয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেব সিআইপি। তিনি পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৬২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নদভী পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে জয়ী হয়েছেন স্মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান সিআইপি। তিনি পান ৫৭ হাজার ৪৯৯ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ কবির লিটন পান ৩২ হাজার ২২০ ভোট। নির্বাচন চলাকালে এ আসনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধমকানোর অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল হয় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। এতে তার ভোট বাতিল হিসেবে গণ্য হওয়ায় এ আসনে মোট বাতিল ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬ হাজার ৯৬৮টি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।