নোয়াখালী-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসন থেকে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি এই মনোনয়নপত্র জমা দেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার সময় চাটখিলে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়ার কাছে তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে এই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যেই তিনি এ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের ২ বারের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ২ বারের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবির এবং সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন সহ ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছন তিনি। মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ৩ জন, কিন্তু প্রার্থী হবে ১ জন।

এ সময় উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ, মহিলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যবৃন্দ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ, সকল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বাজার কমিটির সকল স্তরের নেতৃবৃন্দরা সহ হাজার হাজার জনগণকে সাথে নিয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, আজকের জনস্রোতই প্রমাণ করে দেয়, নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে সকলেই পরিবর্তন চায়। সকলের একটাই চাওয়া গরীব-দুঃখী ও মেহনতী মানুষের স্বপ্নের ঠিকানা, নির্যাতিত নেতাকর্মীদের আশ্রয়স্থল আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর আলম ভাইকে এম.পি হিসেবে নির্বাচিত করা।

তারা আরও বলেন, এইখানকার নেতাকর্মীরা কেউই কিন্তু নৌকার বিরুদ্ধে না, সকলেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বিগত ১০ বছরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে সাধারণ জনগণকে অত্যাচার, নির্যাতন, নিজ দলের নেতাকর্মীদের মামলা-হামলা দেয়া, পুলিশ দিয়ে হয়রানি, বিএনপি-জামাতের লোকজনদের চাকরি ও ঠিকাদারি কাজ দেয়া সহ সকল ধরণের দুর্নীতি থেকে এই আসনের জনগণ মুক্তি চায়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।