পর্যবেক্ষক দল আসুক বা না আসুক নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে—তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ইউরোপীয় উনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারে পর্যবেক্ষক দল পাঠাবেন বলেছে। কারন হিসেবে তাদের চিঠিতে বাজেট স্বল্পতার কথা উল্লেখ করেছে। আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, পাশাপশি সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে। বিদেশী পর্যবেক্ষক আসুক না আসুক আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড়স্থ নিজ বাসভবনে দেশের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইইউ’র প্রতিনিধি দল পাঠানো নিয়ে করা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন আসলে কে পর্যবেক্ষণ করলো না সেটা নিয়ে মাতামাতি হয়। অথচ বাহিরের কোন দেশে এসব নিয়ে এতো মাতামাতি নেই। ভারতে যখন নির্বাচন হয় তখন কি বিদেশী পর্যবেক্ষক দল সেখানে যায়? ইউরোপে কিংবা বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন নির্বাচন হয় তখন আমাদের দেশ বা অন্যান্য দেশের পর্যবেক্ষক দল কি সেখানে যায়? য়ায় না। সুতরাং নির্বাচনটা আমাদের, নির্বাচন কে পর্যবেক্ষণ করলো আর কে করলো না, সেটা নিয়ে কিছু যায় আসে না। আর কেউ না আসলে সেটাও আমাদের দেখার বিষয় নয়। ইতিমধ্যে দেশের স্থানীয় সরকারসহ যে সকল নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। সুতরাং আগামী নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এবং নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে।

ইতিমধ্যেই বিএনপি আগামী লংমার্চ কর্মসুচিতে হরতাল অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচির জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন, এর বিপরীতে আওয়ামী লীগ ও সরকারের প্রস্তুতি কি এ প্রশ্নের জাবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। পেট্টোলবোমা নিক্ষেপ করে শতশত নিরীহ মানুষ পুড়িয়েছিল। এমনকি নিরীহ প্রাণীকেও তারা বাদ দেয়নি। দেশে রাজনীতির নামে এধরণের নৃশংস ঘটনা বিএনপি আর করতে পারবে না, দেশের মানুষও তা মেনে নিবে না। রাজনীতির নামে অপরাজনীতির পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করলে দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।

এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।