পাহাড়ে জমজমাট পশুর হাট, ভিড় করছেন শহুরে ক্রেতারাও

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারাদেশের মতো জমে উঠেছে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকার পশুর হাটগুলোও। পাহাড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশে স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠা পশু নিয়ে প্রস্তুত পার্বত্য চট্টগ্রামের এসব হাটগুলো। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে বেড়ে ওঠা পশু পাওয়া যায় বলে এসব হাটের দিকে নজর বেশি শহুরে ক্রেতাদের। তাই চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা এবং মহানগর থেকে অসংখ্য ক্রেতা প্রতিদিন ভিড় করেন এসব হাটে। এছাড়া ছোট বড় ব্যবসায়ীরাও পাহড়ি গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন জেলায়। ক্রেতারা বলছেন, এবারের পশুর বাজার আগের তুলনায় অনেক চড়া, আর বিক্রেতারা বলছেন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পশুর দাম বেড়েছে।

কাপ্তাইয়ের পশুর হাট সরগরম করছেন দূর-দূরান্তের ক্রেতারা

কোরবানিকে সামনে রেখে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের একমাত্র গরুর হাট নতুন বাজার আনন্দ মেলা মাঠ জমে উঠেছে। এবারের কোরবানি ঈদে দেশীয় পাহাড়ি গরুর কদর একটু বেশি। যার ফলে পশুরহাটে পাহাড়ি গরুর দামও একটু বেশি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা বিক্রেতাদের আগমনে সরগরম হয়ে উঠেছে এই পশুর হাট।

বিক্রেতা রমজান, লোকমান ও বশর জানান, পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাহাড়ি বিভিন্ন জাতের গরু আনা হয়েছে এই হাটে বিক্রির জন্য। বিশেষ করে রাঙামাটির মাইনী, মারিশ্যা, লংগদু, বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়িসহ নানা এলাকা হতে ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে পশু নিয়ে আসেন ব্যাপারীরা।

তারা আরও বলেন, সারা বছর পাহাড়ের জঙ্গলে গরু ছেড়ে দিয়ে লালন-পালন করা হয়। পশুরা পাহাড়ের প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো ঘাস, লতাপাতা খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে থাকে। এদের কোন প্রকার স্বাস্থ্যের জন্য কৃত্তিম ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়না। তাই পাহাড়ের গরুর দাম একটু বেশি। তারা আরো জানান, দাম বেশী হলেও বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে কাপ্তাইয়ের এসব পাহাড়ী গরু। বিশেষ করে এই পাহাড়ি গরুর কদর দেশজুড়ে রয়েছে।

কাপ্তাইয়ের নতুন বাজার হতে গরু কিনতে আসা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা আবু বক্কর, খোরশেদ আলমসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা বলেন, এই বাজারে যেসব গরু আনা হয় তা পাহাড় থেকে, গরুগুলো অনেক ভালো। এসব গরু প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো ঘাস ও লতাপাতা ছাড়া কিছুই খায়না। তাই পাহাড়ি গরুর প্রতি ক্রেতাদের চাহিদা অনেকটা বেশি।

তবে কিছু ক্রেতা হতাশ হয়ে বলেন, বাজারে গরুর দাম অনেক চড়া তাই অনেকেই গরু না কিনে চলে যাচ্ছেন। দাম একটু কমলে গরু বিক্রয় আরও বাড়বে বলে তারা জানান।

কাপ্তাইয়ে নতুন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, কাপ্তাইয়ের একমাত্র পশুর হাট এই আনন্দ মেলা মাঠে সাশ্রয়ী মূল্যে কোরবানির পশু বেচাকেনা হচ্ছে।

কাপ্তাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক হাজারী বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও কাপ্তাই পশুর হাটে একজন উপ-সহকারী পশু সম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটা টিম হাটে চিকিৎসা সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে।

বাঘাইছড়িতে ২ একর জায়গাজুড়ে পশুর হাট

পাহাড়ে জমজমাট পশুর হাট, ভিড় করছেন শহুরে ক্রেতারাও 1

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে জমজমাট হয়ে উঠেছে পাহাড়ি গরুর বিশাল কোরবানির হাট। উপজেলার প্রবেশ পথেই প্রায় ২ একর জায়গাজুড়ে এই হাট স্থাপন করেছে বাঘাইছড়ি পৌরসভা। উপজেলার সীমান্তবর্তী সাজেক, দোসর, নিউলংকরসহ দূরদূরান্ত থেকে এসব গরু ৭-৮ দিন হেঁটে উপজেলা সদরে পশুর হাটে আনা হয়। কোন ধরনের মোটাতাজাকরণ ওষুধ ছাড়াই পাহাড়ি এসব গরু বনে স্বাধীনভাবে বেড়ে উঠায় দেখতে বেশ হৃষ্টপুষ্ট। তাই সহজেই ক্রেতাদের মন কাড়ছে এসব গরু। এছাড়াও বাজারে রয়েছে বাহামাসহ নানা প্রজাতির বিশাল দেহের বিদেশি গরুও।

এই বাজারে মাঝারি সাইজের এক একটি গরু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ হাজার এবং বড় সাইজের গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। এছাড়া বিদেশি গরুর দাম ৩-৪ লাখ টাকা হাকা হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ কম। বিভিন্ন সাইজের গরুর পাশাপাশি এই হাটে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগলও। একেকটি বড় আকারের খাসি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ হাজার টাকায়। চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যাবসায়ী এবং গৃহস্থরাও এই বাজারে আসছে। ভালো দাম পাওয়ায় স্থানীয় গবাদিপশু মালিকরাও খুশি।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে বাঘাইছড়ি উপজেলার বৃহৎ এই পশুর হাট চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার।

বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জমির হোসেন বলেন, প্রতি বছর কোরবানির মৌসুমে এখানে প্রায় ৫-৬ কোটি টাকার পশু হয়। বাজারের সুন্দর পরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকায় হাটের পরিবেশ চমৎকার।

দেশি পশুতে ভরপুর লংগদুর কোরবানির হাট

পাহাড়ে জমজমাট পশুর হাট, ভিড় করছেন শহুরে ক্রেতারাও 2

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাঙামাটির লংগদুতে জমতে শুরু করেছে পশুরহাট। তবে এখনও বেচাকেনা সেভাবে জমেনি। খামারি এবং কৃষকরা বিভিন্ন পশুরহাটে যাচ্ছেন গরু-ছাগল নিয়ে। জমিয়ে তুলতে হাটগুলো খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন ইজারাদাররা। লংগদুতে কুরবানির পশুর হাটগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বৃহত্তর মাইনীমূখ বাজার। এ হাট আয়তন ও বেচাকেনায় উপজেলা তথা জেলার সবচেয়ে বড়। গরু, মহিষ ও ছাগল নিয়ে ইতিমধ্যেই ভরপুর এই পশুর হাট। ক্রেতাদের চোখ স্থানীয় খামারে পালিত দেশি জাতের গরু-ছাগলের দিকে। আর সেদিকে খেয়াল রেখেই হাটে পশু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা।

ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্থানীয় খামারে পালিত দেশি জাতের গরু-ছাগল নিয়ে প্রস্তুত মাইনীমূখ পশুর হাট। লংগদুতে এবার চাহিদার চেয়ে বেশি কুরবানির পশু থাকায় দাম নাগালের মধ্যে থাকবে বলে আশা করছেন তারা। তবে খাদ্যের দাম বেশি থাকায় এবার খামারিদের খরচ একটু বেশি পড়েছে। ফলে গতবারের তুলনায় এবার গরু-ছাগলের দাম একটু বেশি পড়বে বলেও জানান তারা।

গরু ব্যবসায়ীরা বলেন, মাংসের বাজার হিসাবে কোরবানির গরুর দাম এখনো কমই রয়েছে। ছোট আকৃতির গরু এখন ৫০-৬০ হাজার টাকায় মিলছে, মাঝারি আকৃতির গরুর দাম ৭০-৮৫ হাজার টাকার মধ্যে এবং বড় গরু ৯০-১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

বাজারের এক ইজারাদার বলেন, বর্তমানে ঈদ উপলক্ষ্যে আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন খামার থেকে কোরবানির গরু আসতে শুরু করেছে। তবে এখনও বেচাকেনা জমে ওঠেনি। বেশিরভাগ ক্রেতা হাটে এসে দরদাম হাঁকিয়ে কোরবানির বাজার বোঝার চেষ্টা করছেন। যাদের বাসায় গরু রাখার জায়গা আছে, কেবল তারাই এখন দামে সুবিধা হলে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন বলেন, আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে মাইনী বাজারে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আসবে এবং বাজারে যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য বাজার কমিটিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সাথে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে লংগদু থানা পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত।

খাগড়াছড়ির গরু যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়

পাহাড়ে জমজমাট পশুর হাট, ভিড় করছেন শহুরে ক্রেতারাও 3

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রামের আরেক পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির গরুর যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এখানকার স্থানীয় হাট থেকে সমতল জেলার ব্যাপারীরা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। জেলার দীঘিনালার বোয়ালখালী, মেরুং, মহালছড়ির মাইসছড়ি, রামগড়ের সোনাইপুল, মানিকছড়ি, গুইমারা, মাটিরাঙ্গা, পানছড়ি ও খাগড়াছড়ি সদরের বিভিন্ন পশুর হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনার ধুম পড়েছে।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর দেশি জাতের পাহাড়ি গরুর দাম কিছুটা বেশি। স্থানীয় বাজারগুলোতে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেশি গরু। ছোট আকারের গরু ৫০ থেকে ৭০ হাজার, মাঝারি গরু ৭০ থেকে এক লাখ টাকা আর বড় আকারের গরু লাখ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।

সম্প্রতি খাগড়াছড়ির তাইন্দং, শান্তিপুর ও গোমতি পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বিভিন্ন আকারের গরুর পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। হাটে পাশের চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লার ও নোয়াখালী থেকে আসা ব্যাপারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

কোরবানির গরু কিনতে ফেনী থেকে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, দাম একটু বেশি হলেও পাহাড়ের দেশি গরুতেই আমার আস্থা। আর তাই এত দূর থেকে ছুটে এসেছি নিজের পছন্দের কোরবানির পশুটি ক্রয় করতে।

কুমিল্লা থেকে আসা ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বলেন, পাহাড়ের গরু প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে। আমি অনেক বছর থেকে পাহাড়ি এলাকা থেকে স্থানীয় গরু দিয়ে কোরবানি দেই। এবারও সে লক্ষ্যে পাহাড়ি গরু কিনতে পানছড়ি হাটে এসেছি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সমাপন চাকমা বলেন, এখানকার গরু কোনো ধরনের মোটাতাজাকরণ ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে। তাই সমতলের লোকজনের কাছে খাগড়াছড়িসহ পাহাড়ের দেশি জাতের গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

পর্যাপ্ত নিরাপত্তায় বান্দবানে জমে উঠেছে পশুর হাট

পাহাড়ে জমজমাট পশুর হাট, ভিড় করছেন শহুরে ক্রেতারাও 4

সম্প্রতি নানা ইস্যুতে বেশ অনিরাপদ হয়ে উঠেছে বান্দরবানের জনপদ। এমন পরিস্থিতিতে কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন। আর পর্যাপ্ত নিরাপত্তার চাদরে জমে উঠেছে বান্দরবানের পশুর হাটগুলো। তবে গতবারের চেয়ে এবার গরুর দাম বেশি বলছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন পশুর খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণের গরুর দামটি কিছুটা বেড়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বান্দরবান শহরের কালাঘাটা ও বালাঘাটা গরুর বাজার হাটে সেজেছে হরেক রকমের গরুতে। পাহাড়ের দীর্ঘদিন ধরে খামারের পালিত গরু ঠাঁই পাচ্ছে এসব হাটে। বালাঘাটা ও কালাঘাটা পশুর হাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ট্রাফিক পুলিশ, সাদা পোশাকে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ মাঠে রয়েছে। পশুর হাটে সার্বিক পরিস্থিতি রয়েছে স্বাভাবিক। তবে শেষ মুহূর্তে ভালোই জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা আছে ৪৬ হাজার ৭০টি। এর মধ্যে জেলার খামারগুলোতে প্রস্তুত আছে ২৫ হাজার ৬১৭টি গরু, মহিষ ও ছাগল। বেশি রয়েছে ২১ হাজারের বেশি কোরবানিযোগ্য পশু । গত বছরের চাহিদা বিবেচনায় এ বছরের চাহিদা নির্ধারণ করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বান্দরবানের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে অন্তত ৩০০ কোটি টাকার পশু বেচাকেনা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বান্দরবান সদর উপজেলা পশু সম্পদের কর্মকর্তা ডা. সুকান্ত কুমার সেন বলেন, পশুর হাটে মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করছে। যেগুলো অসুস্থ গরু সেগুলোকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। বান্দরবান সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, হাটে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার জন্য আমরা কাজ করছি। এখানের শৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে সেদিকে সজাগ আছি।

বি:দ্র- রাঙামাটির সাকিব আল মামুন, কাপ্তাইয়ের অর্ণব মল্লিক ও বান্দরবানের তপন চক্রবর্তীসহ স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য ও ছবির সমন্বয়ে প্রতিবেদনটি প্রস্তত করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।