চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অসাধু চক্র শুধু পাহাড় কেটেই ক্ষান্ত নয়, তাদের নজর এবার উপকূলের খাস জমির মাটিতে। পাহাড় কেটে যেভাবে ধ্বংস করছে তেমনি এবার উপকূলের খাস জমি থেকে মাটি কেটে সাবাড় করছে।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় অভিযানে নামেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। সাথে ছিলো বাঁশখালী থানার পুলিশের একটি টিম।
তবে ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই এস্কেভেটর ফেলে পালিয়ে যায় চক্রটি। এ সময় কাউকে হাতে না পেলেও এস্কেভেটরটি জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, আজ সরেজমিনে দেখা যায় কাথারিয়া ইউনিয়নের হালিয়া পাড়ার সমুদ্র উপকূলের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে কিছু অসাধু ব্যাক্তি সরকারী খাস জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে অনেক বড় বড় গর্ত করছেন। এ সময় একটি এস্কেভেটর জব্দ করা হয়। সাধনপুর ইউনিয়নেও কিছু জায়গায় পাহাড় কাটা ও কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। কিন্তু ঐ স্থানগুলোতে দোষী ব্যাক্তিদের পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে পাহাড় ও কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরকে বিষয়গুলো নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী জানান, বাঁশখালীতে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ও মাটি কাটার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযান পরিচালনা করে অর্থদন্ডসহ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ও গাড়ি জব্দ করেছি। যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিষয়ে খোজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।