পেকুয়ায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির কর্মসূচি, ১৪৪ ধারা জারি

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও পুলিশের গুলিতে ভোলায় দুই নেতা নিহতের প্রতিবাদে রবিবার (২৮ আগস্ট) সকালে পেকুয়া বাজার ও চৌমুহনীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা বিএনপি। একই সময়ে একই স্থানে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টা মিছিল-সমাবেশ আহ্বানকে কেন্দ্র করে সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কক্সবাজারের পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

এরপরও বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা বলেন, ‘একই সময়ে দুই দলের পাল্টা কর্মসূচির কারণে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পেকুয়া সদরের স্টেডিয়াম থেকে চৌমুহনী হয়ে পেকুয়া বাজার ও পরিষদ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’

এদিকে, ১৪৪ ধারার বিষয়টি শনিবার রাত ১২টা থেকে মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে। এতে বলা হয়, পেকুয়া উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রবিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পেকুয়া স্টেডিয়াম থেকে চৌমুহনী হয়ে পেকুয়া বাজার সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত সব রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের ওপর ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।

পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ বলেন, ‘আমাদের পূর্ব নির্ধারিত প্রোগ্রাম বানচাল করতেই আওয়ামী লীগ অকস্মাৎ কর্মসূচি দিয়েছে। এরপরও প্রশাসন যেহেতু ১৪৪ ধারা জারি করেছে, সেহেতু আজকের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আবার দিনক্ষণ ঠিক করে গণমিছিলসহ বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।’

পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, ‘২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা চেষ্টা করার প্রতিবাদে রোববার সকালে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজনের সময় ঠিক হয়। এখন ১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।’ তবে আওয়ামী লীগ প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলবে বলে জানান তিনি।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ আলী বলেন, ‘১৪৪ ধারা যাতে কেউ ভাঙতে না পারে সেজন্য সতর্ক রয়েছে পুলিশ। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।