প্রতিরোধের মুখে ভাড়া বৃদ্ধি থেকে পিছু হটলো ঘাটের ইজারাদার

স্থানীয়দের সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে শেষ পর্যন্ত নদী পারাপারে ভাড়া বৃদ্ধি থেকে পিছু হটেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ডাঙ্গারচর-সল্টগোলা ঘাটের ইজারাদাররা। আগের নিধারিত ভাড়ায় নৌযান চলাচল করতে বাধ্য হয়েছেন।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে ঘাটে গিয়ে নদী পারাপারে আগের নির্ধারিত ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে ইজারাদারকে। বিষয়টি কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে বাংলা নববর্ষের শুরুতে (বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল) দুপুর বারোটায় জুলধা ডাঙ্গারচর-সল্টগোলা ঘাটে স্থানীয়দের ব্যানারে যাত্রী হয়রানি বন্ধে ইজারাদারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। সল্টগোলা-ডাঙ্গাচর নিরাপদ নৌযান পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ হারুনের সভাপতিত্বে ও সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম হৃদয়ের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ওমর ফারুক, সাইফুল ইসলাম, সাহাবুদ্দিন, ফখরুল ইসলাম, আলী আজগর, আবু তারেব, মনির আহমদ, মোহাম্মদ আব্বাস, নুরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ মুছা, মোহাম্মদ রায়হান, আরমান, হৃদয়, আলী আকবর।

ঘাটে ভাড়া বৃদ্ধির জন্য ১৪২৯ সালের প্রথম দিনে তৈলের দাম বাড়ার অজুহাতে ১০ টাকা থেকে অতিরিক্ত ২ টাকা বৃদ্ধি করে ১২ টাকার নেয়ার ঘোষণা দেন ইজারাদার। অযৌক্তিক ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী ১০ টাকা করে নিতে বাধ্য হয়।

স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বার সিরাজুল ইসলাম হৃদয় বলেন, ইজারাদার-সাব ইজারাদারদের অতিরিক্ত ভাড়া বৃদ্ধি, অনিয়ম ও স্থানীয়দের দমানোর জন্য মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকির প্রতিবাদে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেন। যদি এবারও ভাড়া বৃদ্ধির চেষ্টা করে, ঈদের পরে আমরা আবারও কঠোর আন্দোলনে যাব।

জানতে চাইলে ঘাটের ইজারাদার মোহাম্মদ ওসমান বলেন, ঘাটটি আমরা ৩২ লক্ষ টাকা দিয়ে সিটি করপোরেশন থেকে ইজারা নিয়েছি। প্রতিবছর সিটি করপোরেশন ১০% ভ্যাট বৃদ্ধি করে। এরমধ্যে তেলের দামও বৃদ্ধি। যার ফলে ঘাটে যাত্রীপারাপারে ভাড়া ২ টাকা করা হয়েছিলো। কিন্তু সেটা এখনও কার্যকর হয়নি। যাত্রীরা যা ভাড়া দিচ্ছে আমরা তাই নিচ্ছি।

স্থানীয়দের বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ঘাটটি নেয়ার পর থেকে যারা ঘাট ইজারা পাননি, তারাই মূলত এসব ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সময়ে ঘাটের মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বেশি। এখন তারাই মিথ্যা বানোয়াট কথা বলছেন মানুষদের।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।