জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সারা দেশে চোখ ধাঁধানো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বদলে গেছে দেশের চেহারা। রাজধানী ঢাকা যেমন বদলে গেছে তেমনি বদলে গেছে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া পর্যন্ত প্রতিটি জনপদ। বাদ যায়নি চির অবহেলিত নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী-চাটখিলও। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় এ চির অবহেলিত জনপদ চাটখিল-সোনাইমুড়ীও উন্নয়নে বদলে গেছে। মূলত প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমের হাত ধরে বিস্তর উন্নয়নে বদলে গেছে গোটা এলাকার চিত্র।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. জাহাঙ্গীর আলম নিয়মিত এলাকায় যাতায়াত ও সভা-সমাবেশ করছেন। এলাকার উন্নয়নে তিনি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা ও ব্যক্তিগত দান-অনুদান এবং সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করে এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে তিনি দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ভালো অবস্থান তৈরি করেছেন বলে মনে করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের হাত ধরে সোনাইমুড়ী-চাটখিলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তরুণ এই নেতা এলাকায় হেঁটে গেলে তার পিছনে জড়ো হচ্ছেন অসংখ্য সাধারন মানুষ, শত শত নেতাকর্মী। তাদের একটাই চাওয়া-আগামীতে এই এলাকায় সংসদ নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এলাকার উন্নয়নে আরও ব্যাপক ভূমিকা রাখবেন।
চাটখিল-সোনাইমুড়ীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকার মানুষ পরিবর্তন চায়। জনগণ এমপি হিসেবে বিকল্প কাউকে খুঁজছেন। শুধু তাই নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সৎ ত্যাগী নেতা হিসেবে আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে এলাকাবাসী মনে করেন। চট্টগ্রাম খবরের জরিপে এই চিত্র উঠে এসেছে।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনটি মূলত বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির জন্মের আগে ১৯৭৩ সালে এ আসনে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ) এর নোয়াখালী অঞ্চলের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান বেলায়েত। তিনি ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মাহমুদুর রহমান বেলায়েত। ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান।
১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবুল কালাম। ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন কামরান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের (বিতর্কিত) ৬ষ্ঠ ও ১৯৯৬ সালে সপ্তম ও ২০০১ সালে অস্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে এইচ এম ইব্রাহিম বিএনপির তরুণ এক নেতা ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের কাছে পরাজিত হন। অর্থাৎ ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত একটানা ৫ বার এই আসনটি বিএনপির দখলে।
২০১৪ সালে এবং ২০১৮ সালেও এ আসনে নৌকা বিজয়ী হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় এ আসনে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। উন্নয়ন যা হয়েছে তার বেশিরভাগই হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমের হাত ধরে।
স্থানীয় নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. জাহাঙ্গীর আলম গত পনের বছর নিয়মিত এলাকায় যাতায়াত ও সভা-সমাবেশ করছেন। নৌকার পক্ষে ভোট দিতে উদ্ধুদ্ব করতে তিনি নিয়মিত গণসংযোগ করছেন।
বিএনপির দুর্গে নৌকার জোয়ার সৃষ্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর পিএ জাহাঙ্গীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দীর্ঘ সময় বিশ্বস্ততার সাথে থাকার ফলে শেখ হাসিনার নির্দেশনা, স্নেহ ও আশীর্বাদে মো. জাহাঙ্গীর আলম তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, নিরলস পরিশ্রম, প্রত্যক্ষ সমর্থনে নিজের এলাকাকে সাজিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। সারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার যে উন্নয়নের জোয়ার, সে উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হতে দেননি চাটখিল-সোনাইমুড়ী বাসীকে। চাটখিল ও সোনাইমুড়ী বাসীর জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় বিগত ২০ বছর ধরে বিএনপির দখলে থাকা চাটখিল ও সোনাইমুড়ী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী এই প্রথম ২০১৬ সালে চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।
আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘদিন ধরে চাটখিল সোনাইমুড়ীবাসীর কাছে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড, সাফল্য প্রচার এবং আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উঠান বৈঠক এবং ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে স্থানীয় জনসাধারণের সব সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধানের উদ্দেশ্যে নিয়মিত সভা-সমাবেশ করে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বয়োবৃদ্ধ শাহজাহান বলেন, তিন মেয়াদে একটানা ক্ষমতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পিএ জাহাঙ্গীর আলম এলাকার দিকে নজর দেয়ার আগে আমরা লজ্জায় মানুষ সাথে কথা বলতে পারতাম না। রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ কোন কিছুই ছিল না। পিএ জাহাঙ্গীর আলম পুরো এলাকা বদলে দিয়েছেন।
পথহারা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ভিত্তি রচিত হয়েছে জাহাঙ্গীরের হাত ধরেই। চাটখিল-সোনাইমুড়িতে আওয়ামী লীগের বিপুল নেতা-কর্মী থাকার পরও ১৯৯১ সাল থেকে নৌকার সমর্থকরা জয়ের মুখ দেখেনি। ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা রাজনীতিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম সেই খরা দূর করেছেন। তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায়ে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সহযোগী সব সংগঠনের নেতৃত্বে আমূল পরিবর্তন তো এনেছেনই পাশাপাশি নারীদেরও তিনি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করেছেন সফলভাবে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চাটখিল-সোনাইমুড়ীতে প্রথম বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের ব্যবস্থা করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর চাটখিল-সোনাইমুড়ী এই প্রথম কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক সহ ও নোয়াখালী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে প্রায় ১২ হাজার নারী প্রতিনিধিদের উপস্থিতির মাধ্যমে সম্মেলনে কমিটি ঘোষণা করেন।
চাটখিল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করার লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চাটখিল পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ উল্যাহ পাটওয়ারী চাটখিল-সোনাইমুড়ী তথা নোয়াখালী-০১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটি, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে যোগ্য, দক্ষ ও নিবেদিত নেতৃবৃন্দকে দিয়ে এবং আর্থিকভাবে নিজে উপস্থিত থেকে সম্মেলন করে সংগঠনকে শক্তিশালী করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। বলতে পারেন তার একক প্রচেষ্টায় তিনি গতি হারা, পথ হারা আওয়ামী লীগকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন।
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা পাটওয়ালী আরও বলেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম সার্বক্ষণিক দলীয় নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছেন। তাদের বিপদ-আপদে অথবা সমস্যা সমাধানে তৎপর থেকে নিজেকে অপরিহার্য করে তুলেছেন।
জনগণের দুঃখ-দুদর্শা লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর পিএ জাহাঙ্গীর আলম
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় (এলজিইডি) কর্তৃক চাটখিল-সোনাইমুড়ীতে বিপুল সংখ্যক আধা পাকা, কাচা রাস্তা, নতুন রাস্তা, সড়ক মেরামত ও ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। চাটখিল সোনাইমুড়ী উপজেলায় প্রায় ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকী কাজ চলমান।
চাটখিল সোনাইমুড়ি উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে নতুন সড়ক মেরামত ও ব্রিজ-কালভার্ট নির্মানের জন্য ২২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ডিপিপি অনুমোদনের ব্যবস্থা করেছেন।
সোনাইমুড়ী পৌরেসভার রাস্তাঘাট, ড্রেন, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মান ও বাজার উন্নয়নের জন্য ২৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার প্রকল্প অনুমোদনের ব্যবস্থা করেছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাধ্যমে চাটখিল সোনাইমুড়ীতে অসংখ্য রাস্তা ঘাট, সড়ক প্রশস্তকরণ, সড়ক উন্নয়ন করেন। চাটখিল উপজেলার হালিমার দিঘীর পাড় হতে চন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত সড়ক মেরামত ও পরবর্তিতে সড়ক প্রসস্থকরন এবং খিলপাড়া-দেওয়ানজী বাজার দত্তপাড়া সড়ক উন্নয়নে ব্যবস্থা করেন। চাটখিল সোনাইমুড়ী পৌরসভার রাস্তা, ড্রেন, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ ও বাজার উন্নয়নের ব্যবস্থা করেছেন। নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বরাদ্দ এনে চাটখিল পৌর কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় পৌরসভার নিজস্ব অফিস নির্মাণের ব্যবস্থা করেন।
চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলায় জনসাধারনের কাছে বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে বিপুল পরিমান ডিপ টিউবয়েল প্রদান করেন এবং বাংলাদেশে ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন (জিওবিআইডিবি) শীর্ষক প্রকল্পে ডিপিপির মাধ্যমে চাটখিল পৌরসভায় ৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন।
লিপাড়া বাজার, আমিশাপাড়া বাজার ও কড়িহাটি বাজারের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কারের ব্যবস্থা করেন।
৯নং খিলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় ছিল টিনের ঘর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডপএমো. জাহাঙ্গীর আলমের প্রচেষ্টায় আমার ইউপি কার্যালয় এখন দ্বিতল ভবন। শুধু আমার কার্যালয় নয়, আমার ইউনিয়নে ৯টি স্কুলের টিনের ঘরকে তিনি দ্বিতল ভবনে পরিণত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহচর্যে থেকে তাঁর উন্নয়ন দর্শনে বেড়ে ওঠেছেন জননেতা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি এলাকার কোনো রাস্তা কাঁচা রাখেননি। আমার এলাকার সব সড়কই এখন পাকা সড়ক।
“শেখ হাসিনার উন্নয়ন’ ঘরে ঘরে বিদ্যুতায়ন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলাকে প্রথম পর্যায়ে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার ব্যবস্থা করেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চাটখিলের নয়নপুর বাজার, দশ পরিয়া, হালিমা দিঘীর পাড় এবং সোনাইমুড়ীর ১০নং আমিশাপাড়া, ৩ নং পরকোট, সোনাইমুড়ীতে বিদ্যুৎ সাবস্টেশন স্থাপন, গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল ও যাবতীয় সমস্যা সমাধানে সাব-জোনাল অফিস, নির্মাণে সহযোগিতা করেছেন। নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে চাটখিল সোনাইমুড়ী উপজেলার গ্রামে বন্ধ থাকা প্রায় অসংখ্য নতুন মিটারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
রামগঞ্জ গ্রীড থেকে চাটখিল উপকেন্দ্র-১ পর্যন্ত ৩৩ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। নোয়াখালী-বেগমগঞ্জ মিড ছাড়াও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ার লক্ষ্যে চাদপুর গ্রিড থেকে চাটখিল সোনাইমুড়ী উপকেন্দ্র বিকল্প লাইন নির্মাণের মাধ্যমে জনগণের মাঝে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ ও নোয়াখালী পল্লি বিদ্যুৎ সমিতীর মাধ্যমে গরীবদের মাঝে বিনামূল্যে বৈদ্যুতিক মিটার বিতরণ করেন। গ্রাহকদের দ্রুত বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করার জন্য অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপন করার ব্যবস্থা করে দেন।
চাটখিল সোনাইমুড়ীর হাজারেরও অধিক গরীব, অসুস্থ ও অসহায়, অসচ্ছল, চিকিৎসা, বসতবাড়ী নির্মাণ, বিয়ে এবং নির্যাতিত দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যের চেক প্রদান করেন।
চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অসুস্থ ব্যক্তিদের মাঝে অসংখ্য হুইল চেয়ার বিতরণ ও অটিস্টিক ছেলেমেয়েদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন ।
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তার পিতা-মাতার নামে প্রতিষ্ঠিত রহমত উল্লাহ আজিজা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলায় প্রতি বছর ঈদ, পূজা ও বিভিন্ন উৎসবে দলীয় নেতাকর্মী, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষিকা, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সের ডাক্তার, নার্স, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ নানা শ্রেণী পেশাজীবী ও সর্বসাধারণের মাঝে বিপুল পরিমাণ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
রহমত উল্যা আজিজা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম উক্ত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে নিম্নোক্ত সাহায্য সহযোগিতা করেছেন।
অসংখ্য অসুস্থ ও অসহায় দুস্থদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঘর নির্মাণের জন্য ঢেউটিন বিতরণ করেছেন। সকল ধর্মের প্রায় বিপুল সংখ্যক ছেলে-মেয়ের বিয়ের আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। অসংখ্য অসুস্থ ও অসহায় দুস্থদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করেন। মুক্তিযোদ্ধা ও দলীয় নেতাকর্মীদের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। চাটখিল-সোনাইমুড়ীর গরীব ও অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে জীবিকা নির্বাহের জন্য বিপুল সংখ্যক রিক্সা বিতরণ করেন। চাটখিল-সোনাইমুড়ীর অসচ্ছল, মেধাবী ও গরীব ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়া ও তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক সাহায্য করেন। চাটখিল-সোনাইমুড়ীর গরীব ও অসহায় মহিলাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য সেলাই মেশিন প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলায় মাননীয় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রীর মাধ্যমে ব্যক্তিগত প্রচেস্টায় অতিরিক্ত বিশেষ বরাদ্দ ১৬০০ জন উপকারভোগীর মাঝে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার বই বিতরণের ব্যবস্থা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এক হাজারেরও অধিক অসহায় দলীয় নেতা-কর্মী, অসুস্থ ব্যাক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যের চেক বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে অসংখ্য বেকার ছেলে-মেয়েকে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন ।
চাটখিল প্রেসক্লাবের নতুন ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। চাটখিল সোনাইমুড়ী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের আধুনিক কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে চাটখিল সোনাইমুড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর সহোযোগিতায় কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের ব্যবস্থা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পিএ জাহাঙ্গীদের সহযোগিতায় বদলে গেলো শিক্ষা ও ক্রীড়াঙ্গণ
সোনাইমুড়ী এবং চাটখিলের প্রতিটি স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার নতুন ভবন ও বহুতল ভবনসহ অসংখ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। চাটখিল উপজেলায় কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ (টিএসসি) ভবন স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেন। চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের ব্যবস্থা করেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে খেলা-ধুলার বিকল্প নেই তার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্রীড়ানুরাগী করার লক্ষ্যে চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিপুল পরিমাণ ক্রীড়া সামগ্রী ও ফুটবল বিতরণ করেন।
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নিক্ষ্যা এই স্লোগানকে সামনে রেখে চাটখিল সোনাইমুড়ীর বিভিন্ন প্রাইমারী স্কুলে নিজ উদ্যোগে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার বিতরণ করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রা শুরু এই স্লোগানকে সামনে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে চাটখিল-সোনাইমুড়ী স্কুল কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে স্মার্ট ট্যাব বিতরণ করেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রহমত উল্যা আজিজা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলার ২৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে হাজার-হাজার গরীব, অসহায় ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে মুজিববর্ষ লোগো সম্মলিত স্কুল ড্রেস, স্কুল ব্যাগ ও জুতা বিতরণ করেন।
সোনাইমুড়ী উপজেলায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মানের অনুমোদনের ব্যবস্থা করেন।
শিক্ষা এবং ক্রীড়াঙ্গণে পরিবর্তনের পাশাপাশি যুব সমাজের কল্যাণের কথা চিন্তা করে এলাকায় সব ধরণের মাদক, ইভটিজিং নিয়ে যুবকদের মাঝে সচেতনা বৃদ্ধি করে তাদেরকে শিক্ষা ও কর্মজীবনে নিয়ে এসেছেন। চাটখিল সোনাইমুড়ী প্রশাসনের তথ্যের ভিত্তিতে স্বেচ্ছায় মাদকাসক্ত পরিহারকারীদের নিয়মিত কর্ম-সংস্থানের ব্যবস্থা করেন। অপরাধ ও অনৈতিক কর্মকান্ড নির্মূলে স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে আসছেন। শত ব্যস্ততার মাঝে যখনই সময় পান তিনি এলাকায় ছুটে আসেন এবং ঘরে ঘরে গিয়ে নিজে মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, খোঁজ খবর নেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালান।
প্রধানমন্ত্রীর পিএ জাহাঙ্গীরের হাত ধরে চাটখিল-সোনাইমুড়িতে ২টি মডেল মসজিদ
চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলার জন্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৫৭০টি মডেল মসজীদ তৈরী প্রকল্পের ২টির অনুমোদন করান। এর মাঝে একটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে আরেকটি চলমান। চাটখিল সোনাইমুড়ী উপজেলায় মসজিদ, মন্দিরে ব্যক্তিগত ও দেশি বিদেশী দাতা সংস্থার মাধ্যমে অনুদান প্রদান। এ ছাড়া দুটি নতুন মসজিদ ও অজুখানা নির্মাণের ব্যবস্থা করেন।
চাটখিল সোনাইমুড়ী উপজেলায় বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও মন্দিরে নোয়াখালী জেলা পরিষদ সমাজসেবা অধিদপ্তর ধর্ম মন্ত্রণালয় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে টিআর জিআরসহ বিভিন্ন ত্রাণ তহবিল এবং নিজস্ব ত্রাণ তহবিল হতে আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন।
চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলার সকল পূজা মন্ডপের সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের ব্যবস্থা করেছেন। প্রতি বছর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলার সকল এতিমখানার মধ্যে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী এবং শীতবস্ত্র বিতরণ করে যাচ্ছেন।
চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিভিন্ন সময়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া ও ভাংচুর হওয়া পরিবারের দোকান ও বসতঘর পুনঃনির্মাণের জন্য ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ অর্থ ও ঢেউটিন বিতরণ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যের চেক প্রদান করেন।
করোনায়ও জনগণের পাশে প্রধানমন্ত্রীর পিএ আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম
করোনা মহামারি পুরো পৃথিবীকে নাড়া দিয়েছে। চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মী, দরিদ্র, অসহায়, দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজার হাজার মানুষের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা এবং যে কোনো নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের স্থানীয় আজীবন এজেন্ট মোস্তফা কামাল বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এমপি সাহেব যা করছেন পিএ জাহাঙ্গীর সাহেব তার ১০০ গুণ বেশি করছেন। তিনি ব্যতিত অন্যকোন জনপ্রতিনিধিদের চেহারা আমরা দেখিনি। কিন্তু আমাদের সন্তান আমাদের ভুলেনি। হাজার হাজার মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
৬৭ বছর বয়সী মোস্তফা কামাল আরও বলেন, এলাকার রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট বিদ্যুৎ সংযোগসহ যাবতীয় সব উন্নয়ন আমাদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের হাত দিয়ে হয়েছে। তিনি ব্যতিত এবার অন্য কেউ ভোট চাইতে আসলে আমরা কাউকে ভোট দিব না। যদি আবার ভোট চাইতে আসেন আমরা কেউ তাকে ভোট দেবো না। আমরা এলাকার সবাই নৌকার মাঝি হিসেবে আমাদের সন্তান জাহাঙ্গীর আলমকে চাই।
এভাবে সব বয়সী সব পেশার মানুষ আগামী নির্বাচনে চাটখিল-সোনাইমুড়ী আসনে আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলমকে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চান। তাদের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলমকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দিবেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।