প্রশাসনের সহায়তায় ৩০ বছর পর জমি ফিরে পেলেন মালিক

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার করলডেঙ্গা গ্রামে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের দখলে থাকা ভূমি উদ্ধার করে প্রায় আধা একর (টিলা) ভূমি মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (২৭ মে) বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার জানান, অবৈধ দখলদার ও ভূমিদস্যুদের কবল থেকে ভূমি উদ্ধার করে মালিকের অংশ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, বোয়ালখালী উপজেলার করলডেঙ্গা মৌজার জে. এল. নং ৩২ আওতাধীন ০১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ৬০৪১ দাগের আন্দরের ৩.৯৬ একর কৃষি (টিলা) জায়গার প্রকৃত মালিক সরকার।

আবেদনকারী স্থায়ী বন্দোবস্তী মামলা নম্বর ২০৩/৮৯-৯০ মূলে মান্যবর জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম কর্তৃক ৩.৯৬ একর কৃষি (টিলা) শ্রেণীয় এই সরকারি খাস জায়গা থেকে ৬০৪১ দাগের আন্দরে আংশিক ০.৬৬ একর কৃষি টিলা শ্রেণীয় ভূমি মোঃ আবুল আলম, পিং-মৃত এজাহার মিয়া, সাং- করলডেঙ্গা এবং উনার স্ত্রী ফরিদা বেগম এর নাম স্থায়ী বন্দোবস্তী প্রাপ্ত হয়।

পরবর্তীতে তাদের নামে আর. এস. খতিয়ান নম্বর ৩৭০৯, দাগ নম্বর ৫৪৪৯/১ সৃজিত হয় এবং উনার স্ত্রীর মৃত্যু জনিত কারণে উনার এবং উনার চার ছেলে ও তিন মেয়ের নামে বি.এস. খতিয়ান নম্বর ৩৯৫৩ সৃজন করা হয়।

আবেদনকারীকে স্থায়ী বন্দোবস্তী মামলা নম্বর ২০৩/৮৯-৯০, আর. এস এবং বি. এস. ট্রেস ম্যাপ মূলে সরকারি এই ৩.৯৬ একর কৃষি (টিলা) শ্রেণীয় খাস জায়গা থেকে উনার ০.৬৬ একর কৃষি (টিলা) শ্রেণীয় জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৫ মে) উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক উদ্ধারকৃত জায়গা থেকে ০.৬৬ একর কৃষি (টিলা) ভূমি স্থায়ী বন্দোবস্তী প্রাপ্ত হওয়ায় মোঃ আবুল আলম এবং তার সন্তান মো: রুবেলকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ৩.২৪ একর জায়গাতে তৃতীয় পর্যায়ের সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হবে বলে নিশ্চিত করে উপজেলা প্রশাসন।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী আবেদনকারী আবুল আলম কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, স্থায়ী বন্দোবস্তী প্রাপ্ত হওয়ায় অনলাইনে খাজনা পরিশোধ করার পরও বহিরাগত ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা এই জায়গা আমাকে ভোগ করতে দেয়নি। ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা এই জায়গায় গাছ বাগান করে ভোগ করে আসছিল। প্রশাসনের এই অভিযানের মধ্যে দিয়ে আমি আমার জায়গা বুঝে পেয়েছি।

দীর্গ ৩০ বছর পর জায়গার মালিকানা বুঝে পাওয়ায় মোঃ আবুল আলমে প্রশাসন ও আইনশৃংখলার সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

স্থানীয়রা জানান, এ ধরণের উচ্ছেদ অভিযানের ফলে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য কমে আসবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।