‘ফোর মার্ডার’এ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফজল হক, ২০ বছর পর র‌্যাবের জালে

লক্ষীপুরের আলোচিত ও চাঞ্চ্যলকর ‘ফোর মার্ডার’ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি এবং ডাকাত সর্দার ফজল হককে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। ফজল হক লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানার চর আফজলের মৃত মাহে আলমের ছেলে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন র‌্যাব-০৭এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার।

তিনি বলেন, ১৭ এপ্রিল ২০০৩ নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানাধীন চর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজল হকের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত সংঘর্ষে ধারালো দেশীয় অস্ত্রের এলোপাথাড়ি আক্রমণে ঘটনাস্থলে চারজনের মৃত্যূ হয়। উক্ত ঘটনায় সেদিন নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানায় ৮ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
মামলা দায়েরের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত আসামিরা গ্রেপ্তার হলেও পলাতক থেকে যায় ঘটনার অন্যতম প্রধান আসামি ফজল হক। এ মামলায় দাখিলকৃত চার্জশিট এর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত ফজল হককে দন্ডবিধি-৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা নূরুল আবছার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি যে, হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত রাতে আমাদের একটি অভিযানিক দল বায়েজিদ এলাকা থেকে ফজল হককে গ্রেপ্তার করে। তিনি ওই ঘটনার যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামি হিসেবে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল আবছার বলেন, ফজল হকের বাড়ি লক্ষীপুরে হলেও বায়েজিদে তিনি নোয়াখালীর হিসেবে নিজের পরিচয় দেন। কখনো রাজমিস্ত্রী, কখনো দারোয়ানের চাকরি করে নিজেকে এতদিন আত্মগোপনে রেখেছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।