বঙ্গবন্ধু টানেল নিয়ে সারাদেশের মানুষ গর্ববোধ করছে—মুখ্য সচিব

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, ‘সরকারের একটি সিগনেচার প্রজেক্ট হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। টানেল হচ্ছে গর্ব করার মত আমাদের বড় একটি সাফল্য। এটি নিয়ে সারাদেশের মানুষ গর্ববোধ করছে। নদীর তলদেশ থেকে ১৮ থেকে ৩১ মিটার নিচে দিয়ে মানুষ টানেলের মাধ্যমে মানুষ এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাবে। টানেলের মাধ্যমে কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগও সহজ হবে।’
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন। এরপর মুখ্য সচিব টানেল ভিজিট করেন। এসময় তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজার চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোয়ায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, রেঞ্জ ডিআইজি নূরেআলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার একেএম শফিউল্লাহসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, এই টানেল বাস্তবায়নের জন্য আমাদের প্রকৌশলীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের অসাধারণ এক কর্ম নৈপূণ্য বা কর্ম দক্ষতার মাধ্যমে আমাদের টানেল উপহার দিতে পেরেছেন।
আগামী ২৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টানেল উদ্বোধন করবেন এবং জনসভায় তিনি বক্তব্যও দিবেন। বঙ্গবন্ধু টানেল শুধুমাত্র আনোয়ারা ও পতেঙ্গাকে সংযুক্ত করবে তা না। টানেলের মাধ্যমে ওয়ান সিটি টু টাউন কনসেপ্ট বাস্তবায়িত হয়েছে।

এশিয়ান হাইওয়ের সাথে টানেল যুক্ত হবে জানিয়ে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ‘টানেলকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। ৩ দশমিক ৩১ কিলোমিটারের টানেল পার হতে সময় লাগবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মিনিট।’

টানেলের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘টানেলের নিরাপত্তার সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে টানেলের নিরাপত্তার সার্থে প্রয়োজনে আমরা যে কোনো সিদ্ধান্ত নিব।

এর আগে সকালে মুখ্য সচিব মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরী এবং দুপুরে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সফর করবেন বলে জানা গেছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।