বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা: মেয়র রেজাউল

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বাঙালির জাতীয় জীবনে আগস্টের ভয়াবহতা, নৃশংসতা ও শোক ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এই দিনে ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসশভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান শুধু অবিসংবাদিত নেতাই ছিলেন না, ছিলেন বীরত্ব, ত্যাগ, দৃঢ়প্রত্যয়, নেতৃত্বগুণে গুনান্বিত একজন রাজনৈতিক। তিনি বাঙালি জাতির জীবনে এসেছিলেন আলোকবর্তিকা হয়ে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) নগরীর নন্দনকানন থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র রেজাউল আরও বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত তখনই স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এর মধ্য দিয়ে তারা বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙ্গে ফেলাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ক্ষুধা ও দরিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর স্বপ্ন।

জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার হলেও এ হত্যার কুশীলবদের আইনের আওতায় আনা সময়ের দাবি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সোনার বাংলা আধুনিক জ্ঞানভিত্তিক উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মেয়র রেজাউল।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ।

এছাড়া জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল-সকালে কালো ব্যাজ ধারণ, নগর ভবন চত্বরে কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ ও বড়পোলস্থ বঙ্গন্ধুর ম্যুরালে পুস্পমাল্য অর্পণ। এছাড়াও চসিক সম্মেলন কক্ষে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত, টাইগারপাস্থ বিন্ন্যাঘাস প্রকল্প এলকায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী, চসিক জেনারেল হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম।

এমএইচকে

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।