বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন বিশ্বব্যাপী প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল

দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অত্যন্ত নিগূঢ় তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন এতটা মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে; যা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ওয়ান বাংলাদেশ চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ -ভারত সম্পর্ক: স্বীকৃতির ৫৩ বছর শীর্ষক’ আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেবাশীষ কুমার প্রামানিক। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অর্ধ শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক মিয়াজীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেবাশীষ কুমার প্রামানিক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক জান্নাতুল নাঈম জেরি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন।সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আশুতোষ দাশ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভারত -বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শুধুমাত্র দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসেই নয়, বরং পৃথিবীর ইতিহাসে অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই সম্পর্ক আবেগের, ভাতৃত্বের, সৌহার্দ্য ও সমমর্যাদার। উপাঞ্চলিক উন্নয়নে এই সম্পর্কের কোন বিকল্প নেই।

বক্তারা আরও বলেন, উন্নয়ন অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, মেধা ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে সমাসীন। অতিসম্প্রতি বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কতিপয় কর্তৃত্ব-আধিপত্যবাদী রাষ্ট্র রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির বেড়াজালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে উক্ত রাষ্ট্রসমূহের কদর্য ভূমিকা নিয়ে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের অসন্তুষ্টির বার্তা দৃশ্যমান হয়েছে। যেটি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অটুট বন্ধনকে আরও অধিকমাত্রায় মর্যাদাসীন করবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।