বাড়ির ছাদে ঝুলছিল প্রবাসী স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে প্রবাসী সেকান্দরের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার। সোমবার (১১ এপ্রিল) সকালে সোনারগাঁও এলাকার ইদ্রিসের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুব মিল্কি।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ইয়াছমিন আক্তারের স্বামী মোহাম্মদ সেকান্দর প্রবাসে থাকেন। বাড়িতে স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার তার দুই সন্তান নিয়ে থাকতো। রোববার সন্ধ্যার দিকে ইয়াসমিন আক্তার ইফতার শেষ করে স্থানীয় একটি ফার্মেসির দোকান থেকে ঘুমের ওষুধ কিনে ৯টি ওষুধ খেয়ে পেলেন। এরপর বাড়িতে এসে রাত ১০টার দিকে বাড়ির ছাদে চলে যায়। তার দুই সন্তান তাকে বারবার ডাকলে তিনি তাদের রুমে চলে যেতে বলেন অন্যতায় তাদের চুরি দিয়ে খুন করবে বলে জানায় ইয়াছমিন। পরে সেহেরি খাওয়ার জন্য আসতে বললে, তখনও তিনি তাদের খেয়ে ঘুমিয়ে যেতে বলেন। এরপর সকালে তাদের মা ইয়াছমিন আক্তারকে না দেখে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ির ছাদে গিয়ে দেখে সিড়ির দরজা খোলা এবং ওড়না পেছানো অবস্থায় তার লাশ ঝুলছে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে জন্য মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুচ মিয়া বলেন, সেকান্দরের স্ত্রীর তার দুই সন্তান নিয়ে বাড়িতে একা থাকতেন। কি কারণে ইয়াছমিন আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সেটা কেউ জানে না। পুলিশ লাশ নিয়ে গেছে ময়নাতদন্তের শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুব মিল্কি জানান, আত্মহত্যার খবর পাওয়ার পর পুলিশের একটি টিম গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া লাশটি মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।