‘বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে মহাসড়ক অবরোধ’

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাটে অবরোধের ফলে দীর্ঘ যানজটে হাজারো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। আর এই অবরোধ বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে হয়েছে বলে দাবি করেন সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আল মামুন।

গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর দাবীতে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুর থেকেই সড়ক অবরোধ করে জঙ্গল সলিমপুর ও আলী নগরের বাসিন্দারা। পরে পুলিশ, জেলা প্রশাসনের সাথে স্থানীয়রা মিলে মহাসড়ক থেকে তাড়িয়ে দেয়।

জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, অবরোধ শুরু হলে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ তাদের সাথে কথা বলেন। আমরা কথা বলেছি। এতে অনেকেই মহাসড়ক ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতকারী সড়কে অবস্থান দীর্ঘায়িত করে। আমরা ভিডিও ফুটেজে দেখেছি তাদের সাথে বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন রয়েছে। প্রশাসন তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিবে।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি মামুন আরও বলেন, সলিমপুরে তিন হাজার এক’শ একর সরকারি জায়গা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এখানে সরকারি বিভিন্ন দফতর স্থাপন হবে। সরকার এই জায়গা দখলমুক্ত করবে। তার পর ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করবে। কিন্তু তারা হুট করে বিএনপি-জামায়াতের পূর্বের নাশকতার মতো এসে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিলো। সীতাকুণ্ডবাসী প্রশাসনকে সহযোগিতা করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে।

‘বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে মহাসড়ক অবরোধ’ 1

উল্লেখ্য, জঙ্গল ছলিমপুর ছিল এক সময়ে দাগী সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র। নিজেদের আশ্রয়কে নিরাপদ করতে পাহাড় কেটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা জলবায়ু উদ্বাস্তুদের কাছে কম দামে সরকারি জমির দখল বিক্রি করতো সন্ত্রাসীরা। আর নগরীর অসংখ্য বস্তীর নেতারা সেখানে বিভিন্ন সমিতির নামে করেছেন পাহাড় উচ্ছেদ। সব কিছু জেনেও চট্টগ্রামের প্রশাসন ছিল নীরব দর্শক।

বর্তমান জেলা প্রশাসন নগর থেকে কারাগারসহ বিভিন্ন দফতর স্থানান্তরের পাশাপাশি বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল, আইকনিক মসজিদ, বেতার ভবন, জাতীয় তথ্য কেন্দ্র, নভোথিয়েটার, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। পুরো পরিকল্পনায় ইকো সিস্টেম রক্ষাকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। থাকছে প্রাণ প্রকৃতির অভয়ারণ্য ইকোপার্কও।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।